বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরবঙ্গে বিজেপির সাংসদ-বিধায়কের উপর হামলার ঘটনায় ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ভাঙচুর হয়। অভিযোগ, বিজেপির কর্মীরাই এই হামলা করে। শুধু তাই নয়, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও হাত গুটিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এই ঘটনার পর তৃণমূলের ৬ সদস্যের প্রতিনিধির দল বুধবার ত্রিপুরায় গেলে তাদের বিমানবন্দরে বাধা দেওয়া হয়। আর তারপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতেই সিদ্ধান্ত হয়, তৃণমূলের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল যাবে ত্রিপুরায়। সেই মত বুধবার সকালে দলের হয়ে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, সুস্মিতা দেব, বীরবাহা হাঁসদা, সুদীপ রাহা ও সায়নী ঘোষ রওনা দেন ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে। কিন্তু অভিযোগ আগরতলা বিমানবন্দরে তাঁরা পৌঁছতেই পার্টি অফিসে যাওয়ার জন্য আগে থেকে চারটি গাড়ির ব্যবস্থা থাকলেও, তাঁরা জানতে পারেন কেবল একটি গাড়িই রাখা হয়েছে। পুলিশের নির্দেশ সবাইকে একবারেই যেতে হবে।
কুণাল ঘোষ পুলিশের সঙ্গে কথা বলেও কোনও সমাধান পাননি। এরপর প্রিপেড ট্যাক্সি ধরার চেষ্টা করলে বাধা দেন পুলিশ। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা হওয়ায় তাঁদের ট্যাক্সি কিংবা অটো দুটোই বুক করতে দেওয়া হয়নি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও সমাধান না মেলায় বিমানবন্দরের বাইরে ধরনায় বসে পড়েন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
‘সেরকম হলে আমি যাব’, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দমদম বিমানবন্দরে নেমেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, “ত্রিপুরায় আমাদের টিমকে প্রিপেড ট্যাক্সিও দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে আমি হেঁটে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। সেরকম হলে আমি যাব, দেখি কার কত দম।”

তবে এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি বিজেপির উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেন, “আগে নিজের ঘরের দিকে তাকান।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও নিশানা করেন মমতা। তিনি কড়া ভাষায় বলেন, ‘বিজেপি প্রশাসনিক শক্তি ব্যবহার করে বিরোধীদের দমন করতে চাইছে, কিন্তু তৃণমূল ভয় পায় না।’













