‘অভিষেকের দুবছরের ছেলেকেও নোটিশ ধরাবে’, CBI ও ED-কে তুলোধোনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি, প্রাথমিক টেট থেকে শুরু করে গরু কিংবা কয়লা পাচার; একের পর এক দুর্নীতি মামলায় নাম উঠে এসেছে শাসকদলের একাধিক নেতা মন্ত্রীদের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডলরা বর্তমানে জেলে হেফাজত রয়েছে আর এর মাঝে এদিন দলীয় নেতা নেত্রীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে বিজেপিকে (Bharatiya Janata Party) কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়ার পাশাপাশি সবকিছুই তাদের ষড়যন্ত্র বলে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতি ইস্যুতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসে চলেছে। একদিকে যখন এসএসসি মামলায় গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তো অপরদিকে আবার কয়েকদিন পূর্বে গরু পাচার মামলার দরুণ জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়াও একাধিক তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের ওপর নজর রেখে চলেছে সিবিআই এবং ইডির মতো গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। আর এর মাঝে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দলীয় নেতা মন্ত্রীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় উঠে আসে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। এমনকি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের পর ফিরহাদ হাকিম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরূপ বিশ্বাসরাও গ্রেফতার হতে পারেন বলে এদিন মত প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, কয়লা পাচার দুর্নীতি মামলায় বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে তদন্তকারী অফিসারদের নজরে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রজিরা। এছাড়াও ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের নাম উঠে এসেছে অন্যান্য মামলায়। এই সকল বিষয়কে সামনে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলায় আমাদের একের পর এক নেতা মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়ে চলেছে। এসব কিছুই হয়ে চলেছে আমাদের সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য।”

এরপরই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “অরূপকে গ্রেফতার করো, অভিষেককে গ্রেফতার করো, ববিকে গ্রেফতার করো। এইভাবে তৃণমূল নির্বাচনে জিততে পারবে না, ভেবেছো! আসলে বর্তমানে মিডিয়ার সঙ্গে বিজেপির একটা বোঝাপড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে। কখনো যদি শোনেন, ববির নামে সম্পত্তি উদ্ধারের পর ওকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাহলে জেনে রাখবেন সবকিছু সাজানো ঘটনা।”

এরপরই সিবিআই এবং ইডির বিরুদ্ধে আক্রমণে ঝাঁঝ আরো বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা দিয়েছে। কাল আবার ওকে নোটিশ পাঠালেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ওর স্ত্রীকে আগেই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কাল না আবার অভিষেকের দু বছরের বাচ্চাকেও ওরা নোটিশ পাঠিয়ে বসে।”

প্রসঙ্গত, রাজ্যের বুকে উঠে চলা একের পর এক দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের মতোই তাদের শীর্ষ নেতৃত্বও যে জড়িত রয়েছে, সেই প্রসঙ্গে অতীতে একাধিক সময় আক্রমণ শানিয়ে চলেছে বিরোধী দলগুলি। সেই প্রসঙ্গকে টেনে এনে বিজেপির উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর জবাব, “তুমি আমাকে বন্ধ রেখে দেখো, কি হয়। নির্বাচনের আগে একবার মারা হয়েছিল। ভেবেছিলো, আমাকে দমানো যাবে। কিন্তু সম্ভব হয়নি। জেলে রাখলেও আমি ঠিকরে ঠিকরে বের হব। আমাকে দমানো সম্ভব নয়।”

X