বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই পুলিশের গুলিতে ১৩ জন কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। তখন মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) ছিলেন রাজ্য যুব কংগ্রেস নেত্রী। এরপর থেকে সেই কর্মীদের মৃত্যুকে স্মরণ করেই শহীদ দিবস পালন করে আসছে তৃণমূল। করোনার কারণে গত বছরের মতো এ বছরও ভার্চুয়াল মাধ্যমে শহীদ দিবস পালন করছে তৃণমূল। এই অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হলেও মমতা যে এবার লোকসভা ২০২৪কে টার্গেট করবেন তা আগেই কমবেশি বুঝিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল।
ইতিমধ্যেই গুজরাটে প্রায় ৩২ টি জেলায়, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা এবং রাজধানী দিল্লিতেও মমতার ভাষণ শোনার জন্য জায়েন্ট স্ক্রিন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিহার এবং ঝাড়খন্ডেও রয়েছে একই ব্যবস্থা। এছাড়া কলকাতায় শ্যামবাজার, গিরিশ পার্ক, লেকটাউন, পার্ক স্ট্রিট, এসপ্ল্যানেড, চেতলা, টালিগঞ্জ, হাজরা সহ একাধিক জায়গায় থাকছে জায়ান্ট স্ক্রিন। উল্টোদিকে অবশ্য ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রাণ হারানো কর্মীদের উদ্দেশ্যে ‘শহীদ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ পালনের কথা জানিয়েছে বিজেপিও। ,
আজ শুরুতেই শরদ পওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, রামগোপাল যাদব, জয়া বচ্চন, তিরুচি শিবা সঞ্জয় সিংয়ের মতো বিজেপি বিরোধী শিবিরের নেতাদের কৃতজ্ঞতা জানান মমতা। যারা এই অনুষ্ঠানের জন্য দিল্লিতে উপস্থিত হয়েছিলেন। একই সঙ্গে তিনি নির্বাচনী হিংসা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মতে, বাংলায় নির্বাচন পরবর্তী হিংসা কিছুই হয়নি।
এই মুহূর্তে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে পেগাসাস কান্ড। এ প্রসঙ্গেও আজ মুখ খোলেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন , “আমি চিদম্বরমজি, শরদ পওয়ারজির সঙ্গে কথা বলব সে উপায় নেই। ফোন ট্যাপ করছে। গরিব মানুষকে টাকা দেওয়ার বদলে আড়ি পাততে টাকা খরচ করা হচ্ছে। আপনার আমার সবার ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন “আমার ফোন ট্যাপ হচ্ছে, তাই আমি আমার ফোনের ক্যামেরা প্লাস্টার করে দিয়েছি।” সাথে সাথেই বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ এনে মমতা জানান, “আপনি কী খাচ্ছেন, কখন ঘুমোচ্ছেন, আপনার ব্রেন স্ক্যান করে নিচ্ছে বিজেপি।” পেগাসাস কান্ড ঘিরে এখন এমনিতেই বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে বিজেপি সরকার। সাথে সাথেই তাদের এবার আরও অশ্বস্থিতে ফেললেন মমতা।