বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: তিনি নিজেই নিজেকে একজন ক্রীড়াপ্রেমী হিসাবে দেখার দাবি করে থাকেন। বিশেষ ক্ষেত্রে, বিশেষ উদ্দেশ্যে তাকে নানানরকম খেলা খেলতেও দেখা গিয়েছে। কখনও হয়তো ব্যাডমিন্টন আবার কখনও ফুটবল পায়ে নিয়ে শট মারতে দেখা গিয়েছে তাকে। ইস্টবেঙ্গলের সংগ্রহশালা উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে সামিল হয়ে আবারও একবার নিজের ক্রীড়াপ্রেম নিয়ে মুখ খুলতে শোনা গিয়েছে আজ। গতকাল ডুরান্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থেকে বেশি কিছু বলার সুযোগ পাননি তিনি ফিফার ভারতীয় ফুটবল সংক্রান্ত বিতর্কের কারণে। তবে আজ নিজের পরিচিত ছন্দেই মুখ খুলতে দেখা গেল তাকে।
তিনি লাল হলুদ তাঁবুতে দাঁড়িয়ে ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডানকে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদানের ঘোষণা করেন এবং তার সাথে সাথে বলেন, “আমি খেলাধুলা ভালবাসি। সিপিএমের সময় ওদের গুন্ডাদের হাতের মার খেতে খেতে আমার দুটো পায়ে, হাতে এমনকি কোমরেও বাজে রকম চোট লেগেছিল। কিন্তু তাও মনের জোরে আমি এখনও খেলতে পারি।”
এদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব দাঁড়িয়ে যেন স্মৃতি রোমন্থন করবেন, সেটা ভেবেই এসেছিলেন। তিনি আরও মনে করে করে বলেন , “ছোটবেলায় কালীঘাটের আদি গঙ্গায় সাঁতার দিয়েছি তখন গাছও বাইতে পারতাম। এখনও মনের জোর আছে। বাড়িতে এখনও ইচ্ছা হলে ফুটবল পায়ে নিয়ে ১০০ বার নাচাতে পারি।” যদিও এসব বলার পাশাপাশি তিনি পুজোর আগে ক্লাবগুলোকে নিয়ে ডাকা বৈঠকে তিন প্রধান অর্থাৎ মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডানকে আমন্ত্রণও জানান। ইস্টবেঙ্গলের এই বিশেষ দিনে মহামেডান ও মোহনবাগান কর্তারাও নিমন্ত্রিত ছিলেন।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে আজ সুরেশচন্দ্র মেমোরিয়াল সংগ্রহশালার উদ্বোধন হয়। ক্লাবের ১০০ বছরের ইতিহাসকে সযত্নে সংরক্ষিত রাখার জন্য এই সংগ্রহশালা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। রাজা সুরেশচন্দ্র চৌধুরী মেমোরিয়াল আর্কাইভে থাকছে বেশ কিছু পুরোনো ও দুষ্প্রাপ্য খেলার ক্লিপিংসও। মোট ৫৭ লক্ষ টাকা খরচ করে মিউজিয়ামটি নির্মিত হয়েছে যা রাজ্য সরকারের তরফেই দিয়েও দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গত সপ্তাহে যেমন মোহনবাগান তাঁবু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে অনুদান দিয়েছিলেন, তেমনই বুধবার লাল হলুদ এবং সাদা কালো ক্লাবকে আরও ৫০ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন মমতা। চীনের আদলে বাংলায় স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেই উদ্দেশ্যে জমি দেখার কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার।