বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন দিন রাজ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রবীণ নাগরিকদের (Senior Citizen) সংখ্যা। সরকারি হাসপাতাল গুলিতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেক সময় চিকিৎসা না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যান তাঁরা। বঙ্গের সাধারণ নিম্নবিত্ত প্রবীণদের চিকিৎসাক্ষেত্রে হতে থাকা ক্রমাগত অসুবিধার কথা মাথায় রেখে সম্প্রতি এই বিষয়টি স্বাস্থ্যদপ্তর তরফে মুখ্যমন্ত্রীর নিকট তুলে ধরা হয়। প্রবীণদের সুচিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের উপদেষ্টা এবং প্রবীণ চিকিৎসক ডঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায় (Sukumar Mukherjee)। সেই আর্জি শুনেই এদিন বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । সেইমত কমিটির একটি বৈঠকও সংঘটিত হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্য জুড়ে একাধিক হাসপাতালে বয়স্কদের চিকিৎসার জন্য খুব শীঘ্রই পৃথক জেরিয়াট্রিক বিভাগ এবং ওয়ার্ড তৈরি করবে রাজ্য।
আরও কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে শহর কলকাতা এবং তার আশেপাশের জেলাগুলিতে এই ব্যবস্থা করা হবে। তারপর রাজ্যজুড়ে জেলা-গ্রাম সর্বত্র এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসা ক্ষেত্রে পরিবহন সমস্যা লাঘব করতে মোট ১২০ টি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে তাঁদের বাড়ি থেকে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। একইভাবে চিকিৎসা শেষে ওই অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমেই তাঁদের আবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। শুধু তাই নয়, এই খরচের সবটাই বহন করবে খোদ মমতা সরকার।
কিন্তু, প্রবীণ নাগরিকদের একা থাকার একটা সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। একথা মাথায় রেখে প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে পরিবারের কোনও সদস্য না থাকলে আশাকর্মীরাদের সাহায্য নিয়ে তাঁদের হাসপাতাল এবং বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথাও জানিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত প্রবীণ নাগরিকদের জন্য রাজ্যে পৃথকভাবে কোনও চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না।
এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সুকুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে দিন দিন জেরিয়াট্রিক পপুলেশন অর্থাৎ ষাট বছরের উর্দ্ধে থাকা মানুষদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ফলে আগামী দিনে বয়স্ক মানুষদের চিকিৎসায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব কথা মাথায় রেখেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।