বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খড়গপুর-২ (Kharagpur) ব্লকে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক সংলগ্ন এলাকায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে একেবারে চকচকে, আধুনিক অবকাঠামোয় তৈরি আদিত্য বিড়লা সংস্থার নতুন রঙের কারখানা। প্রায় ৮৬ একর জমিতে (৮৫.৭৯ একর) গড়ে উঠেছে এই বিশাল শিল্প প্রকল্প। প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগে তৈরি এই কারখানা ঘিরে এলাকায় নতুন আশার আলো দেখছেন স্থানীয় মানুষজন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কারখানাটি চালু হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েক হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। শুধু তাই নয়, শিল্পায়নের নতুন দিশা খুলে যাবে খড়গপুর (Kharagpur) ও তার আশপাশের অঞ্চলে।
কারখানা উদ্বোধনের মুখ্যমন্ত্রীর আসার সম্ভাবনা
এই বিশাল প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে উপস্থিত থাকবেন আদিত্য বিড়লা গ্রুপের শীর্ষ কর্তারাও। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর আগমন নিয়ে প্রশাসনিক মহলে আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ করা হয়েছে। এই ঘোষণার পর থেকেই তৎপরতা শুরু হয়েছে। বিকেল তিনটে নাগাদ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা, অর্থাৎ জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের একটি দল কারখানা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন।
হেলিকপ্টারে মুখ্যমন্ত্রীর আগমন, বৈঠক হতে পারে খড়গপুরেই (Kharagpur)
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টারেই খড়গপুর (Kharagpur) পৌঁছাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে বা পরে জাতীয় সড়কের পাশের একটি বেসরকারি হোটেলে প্রশাসন ও তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের তরফে ওই হোটেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি ঘিরে গোটা এলাকায় এখন নিরাপত্তার কড়াকড়ি।
মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের সম্ভাবনা ঘিরে তৃণমূল শিবিরেও ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও বিধায়ক সুজয় হাজরা বলেন, “গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি খড়গপুরে এই কারখানার উদ্বোধনে আসতে পারেন। মেদিনীপুরকে তিনি অত্যন্ত ভালোবাসেন, তাই প্রায়ই এখানে আসেন তিনি।” অন্যদিকে, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এই কারখানার মাধ্যমে এলাকার বহু ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।”

প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচি কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। তবে মঙ্গলবার দুপুরে সরকারি সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরেই প্রশাসন ও দলীয় মহলে স্বস্তি এসেছে। বিজয়ার পরেই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রথম বড় শিল্প উদ্যোগের উদ্বোধন। স্বাভাবিকভাবেই খড়গপুর (Kharagpur) ও পশ্চিম মেদিনীপুরে এখন সাজো সাজো রব।













