বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ, মঙ্গলবার থেকেই খাতায় কলমে শুরু হচ্ছে রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া। এদিন থেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করার কাজ শুরুর করছেন শুধু। এদিকে এই দিনটিকেই এসআইআর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলের জন্য বেছে নিয়েছেন তৃণমূল। মঙ্গলবার ধর্মতলায় আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত এই মিছিলে হাঁটবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এসআইআর এর প্রতিবাদে মিছিলে মমতা-অভিষেক (Mamata Banerjee)
এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ রেড রোডে পৌঁছে যান মমতা অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, অন্যরা নয়, স্টেজের সামনে আসবে শুধু মতুয়ারা। বিজেপিকে তীব্র নিশানা করে অভিষেক বলেন, মতুয়া রাজবংশীরা এদের ফাঁদে পা দিলে অসমে হিন্দুদের সঙ্গে যা হয়েছে তাঁদের সঙ্গেও হবে। ৮০০ টাকা দিয়ে মতুয়া মহাসঙ্ঘের কার্ডও স্রেভ ভাঁওতা বলে দাবি অভিষেকের।

বাংলাদেশি ইস্যু টানলেন মুখ্যমন্ত্রী: তিনি বলেন, আগামীর লড়াই বিজেপিকে শূন্য করার লড়াই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন এনআরসি করতে দেবেন না, করতে দেননি। এসআইআর নিয়েও ভয় না পাওয়ার আর্জি জানান অভিষেক। অন্যদিকে বাংলা ভাষা এবং বাংলাদেশি ইস্যু নিয়ে ফের তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, বাংলায় কথা বললেই কেউ বাংলাদেশি, উর্দুতে কথা বললে পাকিস্তানি হয়ে যায় না। যে যেখানে কাজ করতে যাচ্ছে সবাইকে বাংলাদেশি বলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন : দেশজুড়ে বন্ধ হতে চলেছে পর্নোগ্রাফি? সুপ্রিম কোর্টে দায়ের মামলা, নেপালের উদাহরণ টেনে কী বলল আদালত?
কেন্দ্রকে নিশানা মমতার: মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, স্বাধীনতার সময় এরা কোথায় ছিল? আগে তো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান একসঙ্গে ছিল। এখানেই না থেমে মমতা কটাক্ষ করেন, ‘জমিদার বললে কম হবে, ওরা লুটেরা। ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে’। নাম না করে অমিত শাহ-শুভেন্দু অধিকারীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘দালালিরও একটা সীমা আছে, অত্যাচারের সব সীমা আপনারা পার করে ফেলেছেন’। বিহারে আগেই এসআইআর হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা (Mamata Banerjee) প্রশ্ন করেন, বলছে বাংলাদেশিকে হটাবে, রোহিঙ্গাদের বের করে দেবে। বিহারে কটা রোহিঙ্গা পেলেন?
আরও পড়ুন : যাত্রীকে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে IRCTC, কোন ভুলে এমন কড়া নির্দেশ রেলের সংস্থাকে?
রীতিমতো ফুঁসে উঠে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘জনগণ ভুল করলে নাম বাদ, বাবা মার নাম না থাকলে আবার জন্মে প্রমাণ করতে হবে আমি বাংলার নাগরিক। কমিশন যে একাধিক গণ্ডগোল করছে তালিকায়, তার বেলা?’ মমতা আরও বলেন, অফিশিয়াল বিএলওদেরই তথ্য দিতে। কেউ বাড়িতে না থাকলে যাতে তাঁর নাম বাদ না যায়, তার জন্য তৃণমূল হেল্পডেস্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।













