বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রথম দফার নির্বাচন হয়ে গেছে। আগামীকাল ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হবে। আর দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের প্রচার অভিযান শেষ হয়েছে গতকাল। এখন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা তৃতীয় দফার নির্বাচনের প্রচারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তৃতীয় দফায় ৩১টি আসনে ৬ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হবে। যেই আসন গুলোতে ভোট হবে সেগুলো হল … দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৬ টি আসনে নেওয়া হবে ভোট। আসন গুলি হল … বাসন্তী, কুলতলি, কুলপি, রায়দিঘি, মন্দিরবাজার, জয়নগর, বারুইপুর পূর্ব, ক্যানিং পশ্চিম, ক্যানিং পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, মগরাহাট পূর্ব, মগরাহাট পশ্চিম, ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর।
তৃতীয় দফায় হুগলির ৮ টি আসনে নেওয়া হবে ভোট। আসন গুলি হল … খানাকুল, জাঙ্গিপাড়া, গোঘাট, হরিপাল, আরামবাগ, ধনেখালি, পুরশুড়া, তারকেশ্বর। হাওড়ার ৭ টি আসনে নেওয়া হবে ভোট। আসন গুলি হল … উদয়নারায়ণপুর, জগৎবল্লভপুর, উলুবেড়িয়া উত্তর, উলুবেড়িয়া দক্ষিণ, বাগনান, শ্যামপুর, আমতা।
তৃতীয় দফার নির্বাচনের জন্য আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুগলিতে প্রচারে যান। হুগলির আট আসনে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে আজ গোঘাটে একটি সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি চিরাচরিত ভাবে বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারীকে একহাতে নেন। তবে গোঘাটে মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দিয়ে আবারও অশালীন ভাষা বেরিয়ে যায় যার কারণে তিনি ক্ষমাও চেয়ে নেন।
বক্তৃতা দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু লোক আছে যাদের ভালোবেসে ফেলেছি কি আর করব। নাহলে গদ্দারদের এত সাহস খাইয়ে পড়িয়ে মানুষ করেছি ‘শালা” দুধকলা দিয়ে সাপ পুষেছি।” নিজের ভাষণে শালা শব্দ ব্যবহার করার পর সংযত হন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তিনি ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘সরি এই ওয়ার্ডটা আমি উইথড্র করছি।”
তবে এটাই প্রথম না যে মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে ভাষণ দিতে দিতে শালা শব্দ ব্যবহার করলেন। একুশের নির্বাচনী প্রচারে বাঁকুড়ার একটি সভা থেকেও মুখ্যমন্ত্রী শালা বলে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর সেই বয়ানের সমালোচনাও হয়েছিল অনেক। একজন জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে তিনি যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তখন ওনার ভাষার প্রতি একটি সংযম থাকার প্রয়োজন বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল।