বাংলা হান্ট ডেস্ক : পাহাড়ে গেলেই কেমন যেন বদলে যান আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কখনও মোমোর দোকানে ঢুকে নিজে হাতে মোমো বানান তো কখনও আবার পর্যটকদের সাথে কথাবার্তায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এই যেমন এবার ভাইপোর বিয়ে দিতে গিয়ে পৌঁছে গেলেন চা বাগানে (Tea Garden)। গোলাপি চেক জামা আর ঝুড়ি মাথায় দিয়ে নেমে পড়েছেন চা পাতা তুলতে।
গত বুধবারই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক ব্যানার্জি (Abhishek Banerjee)। এখানে ভাইপোর বিয়ে থেকে শুরু করে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তার। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘আমি পাহাড়ের মানুষজনকে খুবই ভালোবাসি। সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ আমার চোখে সমান। আমাদের পরিবারের ছেলে পাহাড়ে বিয়ে করছেন। সে এবং তার হবু স্ত্রী দুই জনেই চিকিৎসক। সাধারণত কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠানে আমি যোগ দিই না। কিন্তু, যেহেতু ও পাহাড়ের মেয়েকে বিয়ে করছে তাই থাকব।’
উল্লেখ্য, আজকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ডাক্তার ভাইপো আবেশ। এই বিয়ের আসর বসতে চলেছে কার্শিয়াঙে। এই বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য পাড়ি জমিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে মকাইবাড়ি চা বাগান পরিদর্শন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কথা বললেন চা বাগানের শ্রমিকদের সাথেও। শুনলেন তাদের সুখ দুঃখের কথা। গলা মিলিয়ে গাইলেন গান।
আরও পড়ুন : ‘লিঙ্ক নেই থেকে শুরু করে লাঞ্চ ব্রেকের বাহানা’, গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করতে নয়া উদ্যোগ RBI-র
পাঙ্খাবাড়ি রোডের চা বাগানে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন বিরোধীরা যতই সমালোচনা করুন তিনিই প্রকৃত অর্থে জননেত্রী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভাইপোর বিয়ের পর তিনি পৌঁছে যাবেন সরকারি পরিষেবা প্রদানকারী একটি অনুষ্ঠানে। এরপর আগামী ৯ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাড়ি দেবেন আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশ্যে। এবং সেখান থেকে তিনি চলে যাবেন বাগডোগরায়।
আরও পড়ুন : ‘গোটা ভারত বিজেপিকে ভোট দেবে’, এ কী বললেন কংগ্রেস সাংসদ! অধীর চৌধুরীর মন্তব্যে শোরগোল
এখানেই শেষ নয়। কাজ শেষ করে বিশেষ বিমানে চড়ে পাড়ি দেবেন হাসিমারা এয়ারফোর্সের উদ্দেশ্যে। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর বাকেট লিস্টে রয়েছে জলপাইগুড়ি। সেখানে ১০ ও ১১ তারিখে বানরহাটের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। পরদিন শিলিগুড়িতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তারপরেই কলকাতায় ফিরবেন। আসন্ন নির্বাচনের আগে এতগুলো কর্মসূচি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। ২০১৯ এর মত এবারও যাতে উত্তরবঙ্গে গেরুয়া রং না ছড়ায় তার প্রাণপন চেষ্টা করে চলছে শাসক দল।