বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: গতকাল অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (U-19 Women’s T-20 World Cup) ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে কাপ জয় করেছে ভারতীয় দল (Indian Women’s Team)। ভারতীয় এই অনূর্ধ্ব ১৯ দলের নেতৃত্বে দায়িত্বে ছিলেন শেফালী ভার্মা। এছাড়া ভারতের এই দলে ছিলেন তিন বঙ্গসন্তান রিচা ঘোষ (Richa Ghosh), হৃষিতা বসু (Hrishita Basu) ও তিতাস সাঁধু (Titas Sadhu)। ভারতকে অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন তিনজনেই।
বিসিসিআই আগেই ভারতীয় মহিলা অনূর্ধ্ব ১৯ দলের জন্য ৫ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। এবার বিসিসিআইয়ের পাশাপাশি তিন বঙ্গকন্যাকে পুরস্কার দেবে রাজ্য সরকারও। শুধু তারাই নন তাদের কোচিং এর দায়িত্বে থাকা বাঙালি কোচ রাজীব ঘোষকেও সম্মানিত করবে রাজ্য।
মমতা ব্যানার্জি এই দিন তিন বঙ্গকন্যা এবং রাজীবকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারা যে বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশের মুখ উজ্জ্বল করা আছে সে কোথাও জানাতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তারা বাংলায় পা রাখার পর তাদের বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হবে এবং তারপর তাদের হাতে ৫ লক্ষ টাকা করে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মমতা।
হাওড়ার অধিবাসী হৃষিতা ভারতের জয়ের ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার। ওই ঐতিহাসিক মুহূর্তটির সম্পূর্ণ হওয়ার সময় ব্যাট হাতে ক্রিজেই ছিলেন তিনি। ভারত জিততেই রবিবার বালটিকুড়ি অঞ্চলে তার প্রতিবেশীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে। ফাইনালে ম্যাচের সেরা হওয়ার তিতাসের হুগলির বাড়ির সামনেও চিত্রটা একই রকম ছিল। তার বাবা রণদীপ জানিয়েছেন বড় ম্যাচে নার্ভ ধরে রাখার ক্ষমতা রয়েছে তিতাসের। তাই মেয়ের ভালো পারফরম্যান্সের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন তিনি।
এদের দুজনের চেয়ে বেশ কিছুটা অভিজ্ঞ উইকেট রক্ষক এবং ব্যাটার রিচা ঘোষ। শিলিগুড়ির মেয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের সিনিয়র মহিলা দলের সদস্য। ব্যাট হাতে লোয়ার অর্ডারে ক্যামিও খেলতে অভ্যস্ত তিনি। এই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপেও যখনই সুযোগ পেয়েছে তার ব্যাট গর্জে উঠেছে। গতকাল ব্যাটের সুযোগ না পেলেও একটি অসাধারণ স্টাম্পিং করেছিলেন রিচা। মেয়ের এই ঐতিহাসিক সাফল্যের পর এলাকায় মিষ্টি বিলি করতে দেখা গিয়েছে তার পরিবারকে।