বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল (All India Trinamool Congress) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসকে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের বিকল্প হিসেবে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে তুলে আনতে চান। আর উনি এই প্রচেষ্টার মধ্যেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং NCP প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মুম্বাই সফরে যাবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরা, অসম এবং হরিয়ানাতেও তৃণমূলের বিস্তার করার লক্ষ্যে রয়েছেন। আর এবার তিনি রাজস্থান, ও মহারাষ্ট্রের সফর করতে চলেছেন। ওনার লক্ষ্য হল বাংলা ছাড়াও সব রাজ্যেই তৃণমূলকে অস্তিত্বে আনা এবং বিজেপি বিরোধী দলের প্রধান বিকল্প মুখ হিসেবে উঠে আসা। তৃণমূল ২০২২-এ গোয়ার লোকসভার নির্বাচনেও লড়তে চলেছে।
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় যেমন বিজেপিকে ভাঙতে সফল হয়েছে, তেমনই দেশজুড়ে তাঁরা কংগ্রেসকে ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে। তৃণমূল মেঘালয়ে ১৮ জনের মধ্যে ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ককে নিজেদের দলে টেনে বড়সড় চমক দিয়েছে। এই দল পরিবর্তনের ফলে মেঘালয়ে তৃণমূলই এখন প্রধান বিরোধী মুখ।
২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদী ‘কংগ্রেস মুক্ত ভারত”-এর ডাক দিয়েছিলেন। ওনার এই অভিযান অনেকটাই সফল হলেও, কিছুটা বাকি ছিল। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেস বেশ কিছু রাজ্যে ক্ষমতায় এসে বিজেপির চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছিল। আর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেই কংগ্রেস মুক্ত ভারতের অভিযানই সফল করার পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে সমস্ত অবিজেপি দলগুলোকে একজোট করার লক্ষ্যে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তবে ওনার লক্ষ্য কংগ্রেসের নেতৃত্বে থাকা নয়। ওনার লক্ষ্য অবিজেপি দলগুলোকে নেতৃত্ব দেওয়া। আর তৃণমূল এবং তিনি এটাও পরিস্কার বলে দিয়েছে যে, কংগ্রেস বিরোধী দলের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ। সেই কারণেই এখন কংগ্রেসে হানা দিয়ে তৃণমূলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।