বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas) বাংলার (West Bengal) উপকূলবর্তী এলাকা লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রভাবিত। অনেকের বাড়িঘর, দোকান ছিনিয়ে নিয়েছে ইয়াস। বুধবারের এই ঝড়ের পর আজ রাজ্যের আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকাগুলো ঘুরে দেখবেন। এরপর শুক্রবার কলাইকুন্ডা বিমানঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) একটি বৈঠক হওয়ার কথা। কিন্তু এই বৈঠক নিয়ে এখন জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে নবান্নের পক্ষ থেকে দিল্লীকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্ভবত উপস্থিত থাকতে পারবেন না। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) উপস্থিত থাকতে পারেন, আর সেটাই মমতার আপত্তির মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী এবং রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
রাজ্য প্রশাসনের সুত্র মারফত, বৈঠকে উপস্থিত অতিথিদের তালিকা জানার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বেঁকে বসেছেন। সূত্রের দাবি, বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাজ্যের রাজ্যপাল উপস্থিত থাকতেই পারেন, কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী কেন?
বলে দিই, শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপি রাজ্যের বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করলেও এখনও পর্যন্ত শুভেন্দুবাবু ওই পদে আনুষ্ঠানিক ভাবে বসেননি। তিনি আপাতত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হারানো একজন বিধায়ক মাত্র। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিকে রাজনৈতিক আখ্যা দেওয়া হয়েছে শাসক দলের পক্ষ থেকে। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাজির না থাকতে পারলে ওনার পরিবর্তে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
আজ দুপুর আড়াইটে নাগাদ এই বৈঠক হওয়ার কথা। বৈঠক চলবে প্রায় একঘণ্টা। ওড়িশার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করার পর প্রধানমন্ত্রী বাংলায় আসবেন।