বাংলা হান্ট ডেস্ক: শুরু থেকেই এনআরসির চরম বিরোধিতা করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনো পর্যন্ত নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। বারংবার খোলা মঞ্চ থেকে এনআরসি সমর্থন না করার কথা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন তিনি। তবে আজ মেয়ো রোডের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা ব্যানার্জি বলেন, তিনি এনআরসি মানতে পারেন তবে সে ক্ষেত্রে কিছু শর্তাবলী প্রযোজ্য।
গতকাল, মুখ্যমন্ত্রী বলেন জলপাইগুড়িতে এনআরসি আতঙ্কে এক শিল্পী আত্মঘাতী হয়েছেন। এই নিয়ে বাংলায় তিরিশ জন মারা গেল। টিভিতে কেউ বক্তব্য রাখবেন, বক্তব্য রেখে প্ররোচনা দেবেন। সে ক্ষেত্রে এর দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে। অসমে কতজন মারা গিয়েছেন? আমাদের এখানে তো তাও রেকর্ড থাকে ওখানে তো তাও থাকে না তাহলে হিন্দুরা বাদ গেলেন কেন?
এদিন তিনি কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেন,” স্বাধীনতার 72 বছর পর হঠাৎ নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা যায়না। এনআরসি আমি মানিনা। তৃণমূলের ফের একটা স্বাধীনতা আন্দোলন করবে। আপনারা তৈরি থাকুন।
এদিন মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি ইস্যুতে যুক্তি দিয়ে বলেন, নাগরিকত্বে যদি নাগরিকরা ভুয়ো হয় তাহলে তো এদের ভোটে জেতা সরকারও ভুয়ো, তাহলে মোদিও ভুয়ো এবং তার সরকারও ভুয়ো।
তিনি আরও বলেন, “উত্তর-পূর্ব ভারত কেন এনআরসি বাদ যাবে! ওখানে এনআরসি মানবেনা। আদিবাসী যুক্তিতে যদি উত্তর পূর্ব ভারত বাদ যায় তাহলে এরাজ্যে ও বিভিন্ন জায়গায় আদিবাসী এলাকা আছে।
শুধু এনআরসি নিয়েই নয়, অর্থনৈতিক ইস্যুতেও কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অর্থনীতি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে ছুলি থেকে বের করেছে এনআরসি আর ক্যাব। ক্যাব নিয়ে বলছেন হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবো, মুসলিমদের দেবোনা। আর এন আর সি করলে প্রথমে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বাদ যাবে। এনআরসির আর ক্যাবের মধ্যে তেমন একটা পার্থক্য নেই। এনআরসি করতে দেবনা দেবনা দেবনা।
ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব আইন কেন হবে? হিন্দু মুসলিম খৃষ্টান সহ সকলকে নাগরিকত্ব দিন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমরা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সমর্থন করবো।
গতকাল সভা মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দিয়ে মমতা ব্যানার্জি সকলকে এককাট্টা হয়ে এনআরসির বিরুদ্ধে বুথে বুথে গিয়ে প্রচার করতে বলেন।