বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ইস্যু হয়েছিল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা। সন্দেশখালির প্রত্যন্ত এলাকায় ঘটে চলা একের পর এক অপরাধমূলক ঘটনার সাথে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের নাম জড়ানোয় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল গোটা রাজ্য। বিক্ষোভ অশান্তির জেরে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল গোটা সন্দেশখালি।
সন্দেশখালি ইস্যুতে বিস্ফোরক মমতা (Mamata Banerjee)
নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে জমি দখল একগুচ্ছ অভিযোগে লাঠি, ঝাঁটা,বাঁশ হাতে রাস্তায় নেমেছিলেন সন্দেশখালি মহিলারা। সমস্ত সন্ত্রাসের নেপথ্যে উঠে এসেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের শেখ শাহজানের থেকে শুরু করে শিবু হাজরার মতো নেতাদের নাম। যদিও এখন সন্দেশখালির পরিবেশ একেবারে শান্ত।
তাছাড়া চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও সন্দেশখালির ঘটনার কোনো আঁচ পড়েনি তৃণমূলের ভোট বাক্সে। গেরুয়া শিবিরের সমস্ত ষড়যন্ত্র তছনছ করে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্রে উঠেছিল সবুজ ঝড়। ওই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালিতে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তৃণমূল কংগ্রেস।
জুন মাসে লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর বসিরহাট কেন্দ্রে জয়লাভ করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে কথা দিয়েছিলেন তিনি সন্দেশখালির মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে যাবেন। কথা রেখেছেন মমতা। সন্দেশখালির ঐ অশান্তির ঘটনার প্রায় এক বছর পর কথা মতোই সোমবার সেখানে পা রেখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: কবে বেরোবে ২০২৩ সালের TET-র রেজাল্ট? বিরাট ঘোষণা করলেন পর্ষদ সভাপতি
সন্দেশখালির মা-বোনেদের একাধিক সুবিধার কথা মাথায় রেখে ‘দিদি’ হয়ে ঘোষণা করলেন একাধিক প্রকল্প। একই সাথে এদিন তিনি নাম না করেই তুলে এনেছিলেন সন্দেশখালির আন্দোলনের কথাও। সরাসরি সন্দেশখালির সেই আন্দোলন সম্পর্কে না বললেও মমতা (Mamata Banerjee) এদিন বলেন, ‘আমি জানি এখানে টাকার অঙ্কের খেলা হয়েছে। কিন্তু মিথ্যা বেশি দিন চলে না।’
একই সাথে সন্দেশখালির মা-বোনেদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই মিলে মিলেমিশে থাকবেন। কেউ কোনও দুষ্টু লোকের খপ্পরে পড়বেন না। যা হয়েছে, আমি ভুলে গেছি। মনে রাখতে চাই না। আমি চাই সন্দেশখালির মেয়েরা এক নম্বর স্থানে আসুক, তারা বিশ্ব জয় করুক। মহিলাদের বলছি কেউ ডাকলে চলে যাবেন না।’