বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আজ একুশের হাইভোল্টেজ নির্বাচনের ভোটগণনা হয়ে উঠেছিল রোমাঞ্চকর। ফলাফলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আসা করেছিল গোটা রাজ্য। কিন্তু ভোটগণনার প্রাথমিক ট্রেন্ডেই থমকে গেল মানুষের চিন্তাভাবনা। একেরপর এক আসনে লিড দিতে শুরু করেছিল শাসকদল তৃণমূল (TMC)।
বিজেপির ‘চাণক্য’ অমিত শাহ এরাজ্যে এসে দাবি করেছিলেন ২০০-র বেশি আসন নিয়ে রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি। একাধিক জনসভা বা সাংবাদিক বৈঠকে এই দাবি লক্ষ্য করা গেছে তাঁর মুখে। তবে তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর জয়ের ‘অঙ্ক’ টা অনেক আগেই কষে ফেলেছিলেন। গতবছরের শেষের দিকেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন বাংলায় বিজেপি ১০০-র গণ্ডি পেরোতে পারবে না। বাস্তবে হল সেটাই।
২০০-র বেশী আসন নিয়ে ফের বাংলার মসনদে বসতে চলেছে মমতা সরকার। এদিন তৃণমূলের জয় নিশ্চিত বুঝেই সন্ধ্যায় কালীঘাটের বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল সুপ্রিমো (Mamata Banerjee)। সেখানে তিনি দলীয় কর্মী-সমর্থক এবং আইটি দলকে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে বলেন ‘ওরা অনেক ভালও কাজ করেছে’। করোনা বিধির কথা মাথায় রেখে বিজয় উৎসব নিয়ে মমতা বলেন, ‘আগামী ৯ তারিখ রবীন্দ্র জয়ন্তী আছে, তারপর আমরা জয় সেলিব্রেশন করব, ব্রিগেড গ্রাউন্ডে হবে সেই আনন্দ।’ তিনি বলেন, ‘বিজেপি গো হারা হেরেছে, ওদের লজ্জায় মুখ লুকানো উচিত’।
এসবের পাশাপাশি, প্রত্যাশার ছাপিয়ে জয় দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এতটা আসন পাব ভাবতেই পারিনি, মা-বোনেরা, সংখ্যালঘু ভাই-বোনেরা ঢেলে ভোট দিয়েছেন, এখন বাংলা দেশকে বাঁচবে, আমি এটা বলতে গর্ববোধ করছি।’ জয়ের পরও তাঁর মুখে কারচুপির অভিযোগ অব্যহত, তিনি বলেন, ‘২২১টি আসনে আমরাই জিতেছি, কোথাও কোনও অনিশ্চয়তা নেই, তবে আমি কোর্টে যাব, আমার মনে হয় কারচুপি হয়েছে”।