বাংলা হান্ট ডেস্ক: চারদিনের জেলা সফর শেষ করে কলকাতায় ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, মমতার এই জেলা সফরে, গঙ্গারামপুর এর প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘কাজ না করলে পাবলিক তোমায় ধরবে না, আমায় ধরবে। এরকম চললে আমি কাউকে ছাড়ব না।’ শুধু তাই নয় এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো আরো বলেন, ‘এই একমাত্র জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর, যেখানে সরকারি প্রকল্পের কাজ খুব ঢিমেতালে চলছে। এসব বরদাস্ত করা হবে না।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারি আধিকারিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করায় তারাও পাল্টা জবাব দিয়ে জানায় যে ‘ডিএম কে বৈঠকে ডাকা হলো না কেন!।’ এরপরে আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে যান মমতা, কড়া সুরে তিনি বলেন, গোটা রাজ্যে ক্ষিণ দিনাজপুর একটি মাত্র জেলা যেখানে নন কো-অপারেশন চলছে। জেলা প্রকল্পের বিভিন্ন রকম কাজ আটকে রয়েছে, ১০০ দিনের কাজেও পিছিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর।’
শুধু তাই নয় এদিন মমতা আরো বলেন, ‘সরকারি আধিকারিকেরা নেগেটিভ অ্যাপ্রোচ নিয়ে চলছেন। তার ওপর আবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে প্রতিনিয়ত। এই কারণের জন্যই সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে জেলার মানুষ বঞ্চিত আছে। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে যা কাজ বাকি রয়েছে সমস্ত শেষ করতে হবে।’
এদিন মমতা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন, যে সমস্ত কাজ বাকি রয়েছে সেগুলো সমস্ত পর্যালোচনা করে তার পেছনের কারণ’ কি তা তাঁকে কে জানাতে হবে। রাস্তাঘাটের কাজ হচ্ছে, মৎস্য দফতরের কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। তিনি বলেন, কাজ কম হলে সবাই এসে আমায় ধরবে। এদিন মুখ্যসচিবও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, জেলা পরিষদের অচলাবস্থা কাটাতে বৈঠকে বসল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন৷ এই বৈঠকটি হয় জেলাশাসকের দপ্তরে৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক নিখিল নির্মল ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান অর্পিতা ঘোষ সহ জেলা পরিষদের ১৩ জন সদস্য৷ এছাড়া ছিলেন মেন্টর শুভাশিস পাল ও বালুরঘাট পৌরসভার প্রশাসক শংকর চক্রবর্তী৷ জেলা পরিষদের বিভিন্ন ফান্ডে থাকা টাকা উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়৷