বাংলা হান্ট ডেস্ক: পানিহাটির প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একটি লেখা পোস্ট করেছিলেন। সম্প্রতি পুরুলিয়া পুলিশ এই অভযোগে গ্রেপ্তার করেছে সন্ময় কে। তারপর আজ শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে সোশাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
তিনি বলেন, “ফেসবুক ভাল, কিন্তু ফেকবুক ভাল নয়। সত্যের যাচাই না করেই মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে। আমি বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। কিন্তু সোশাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার হচ্ছে।” এরপর রাজ্য পুলিশের DG-র উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। সাইবার আইন আছে কি না দেখুন। প্রয়োজনে সেই আইন সংশোধন করে প্রয়োগ করুন। ফেসবুকে মিথ্যে তথ্যের জেরে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে।”
উল্লেখ্য, সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান করেছেন। জানা গেছে, শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়িতে পুলিশ কমিশনারেটের মাঠে এই অনুষ্ঠান করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট মানুষজনরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি উত্তরকন্যায় একটি প্রশাসনিক বৈঠকও করেন মমতা।
প্রসঙ্গত, দশমীর পর এতদিন পর্যন্ত কলকাতার বহু জায়গায় বিজয়া সম্মিলনী তে উপস্থিত থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি এমনকি রাজারহাট নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে বিশিষ্ট শিল্পপতিদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান করেছিলেন মমতা।
কিন্তু উত্তরবঙ্গের বিজয়া সম্মিলনীতে প্রথমবার যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সম্মেলনীর এই অনুষ্ঠান শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি দুই জেলাকে নিয়েই হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই দুই জেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষদের, বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান আরো জমজমাট করতেই এই আয়োজন করা হয়। নবান্নের সচিব পর্যায় থেকে তালিকা তৈরি করা হয়েছে আমন্ত্রিতদের।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মমতার এই বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে মত প্রকাশ করে জানিয়েছেন, জনসংযোগের কারণে এবারে উত্তরবঙ্গে বিজয়া সম্মিলনী করার উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে বিজয়া সম্মিলনীর কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গে বিজয়া সম্মিলনী কে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে৷