বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেবেন্দ্র ফড়নবিসের মুখ্যমন্ত্রী পদ শপথ গ্রহণের পর থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল শিব সেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি। দেবেন্দ্রকে কার্যত সেই চ্যালেঞ্জের কাছে হার মানতে হয়। তাই মাত্র তিন দিনের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারের যবনিকা পতন হয়। অবশেষে উদ্ভব ঠাকরে হচ্ছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী, বৃহস্পতিবার উদ্ধব ঠাকরের শপথ নেওয়ার কথা।
আর উদ্ভবের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর পরেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। কারণ বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি বিরোধী জোট গঠন করতে আগ্রহী এবং গঠন করার ডাক দিয়েছিলেন তাই উদ্ধবের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতাকে আমন্ত্রণ এক প্রকার বিজেপিকে কটাক্ষই বটে।
তাই তো একদিকে যেমন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিজেপি সরকারের পতনকে একে জয় হিসেবে দেখছেন অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে বিরোধী শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইছে বলেও মত প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। উল্লেখ্য, অভাবের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও।
তাই দুটি বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানানোর মধ্য দিয়ে এক নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি চেষ্টা চলছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। প্রসঙ্গত, শর্ত মেনেই মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধেছিল বিজেপি ও শিবসেনা। তাই নির্বাচনের ফল লাভের পর আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্ব পদের দাবি করেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তার পরেই দীর্ঘ কয়েক দশকের জোটের সম্পর্ক আসতে আসতে বিরোধী সম্পর্কে পরিণত হয়।