বাংলা হান্ট ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে যেভাবে গোটা রাজ্যে অশান্তির ক্রমশই উস্কে উঠেছে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক সেরেছেন রবিবার। শুক্রবার থেকে রাজ্যের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার পর থেকেই সোম মঙ্গল ও বুধ এই তিন দিন ব্যাপী কলকাতায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে পদযাত্রার তা ঘোষণা করেছিলেন।
আজ সোমবার দুপুর একটা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসির মতোই পদযাত্রা ও মিছিলে হাঁটবেন। সোমবারের কর্মসূচি হলেও ধর্মতলা বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ থেকে মিছিল জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি অবধি যাবে। দ্বিতীয় দিন যাদবপুরের এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার অবধি, তৃতীয় দিন হাওড়া ময়দান থেকে শুরু হয়ে সেটি গিয়ে শেষ হবে ডোরিনা ক্রসিং অবধি।
অর্থাত্ তিন দিন ব্যাপী যে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে তাতে মহানগরের বাসিন্দারা একপ্রকার যানজটের সমস্যায় ভুগবেন তা আগে থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছে, তবে এ দিন শুধুমাত্র তৃণমূল নয় বামেরা এবং কলেজ স্কোয়ারের ছাত্রছাত্রীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল রয়েছে তাই সব মিলিয়ে মহানগরের অবস্থা আজ কিছুটা হলেও বিপর্যস্ত হতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার দুপুর একটা থেকে মিছিল শুরু হয়ে জওহরলাল নেহরু রোড চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ হয়ে জোড়াসাঁকোর অবধি যাবে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এর প্রতিবাদ সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে আইনের পথে শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করার কথা জানিয়েছিলেন এমনকি সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে কিংবা স্টেশন রেল এসব আগুনে জ্বালিয়ে কোনও রকম ক্ষতি না করার বার্তা দিয়েছিলেন।
পাশাপাশি গণতান্ত্রিক উপায়ে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।অন্য দিকে অসমের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি এখনও অবধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।