বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আগামীকাল রাজ্যে ভোট চতুর্থী। তার আগে আজ ৫টি ম্যারাথন নির্বাচনী প্রচার মমতার। আর সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধে একেরপর এক আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সভামঞ্চ থেকে পেট্রো-পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ফের সরব হন মমতা (Mamata Banerjee)। তিনি জনতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারকে আগে গ্যাস বিনামূল্যে দিতে বলুন, তারপর ভোট চাইতে আসতে বলবেন’। এমনকি মাস দুয়েক আগে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এক অভিনব পদক্ষেপও নিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ই-স্কুটার চেপে নবান্ন গিয়েছিলেন তিনি।
এদিন বালাগড়ের জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে একাধিক ইস্যুতে একহাত নেন মমতা। এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিঁধে চলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন’। এমনকি তিনি এও বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর এত সাহস, ভোট মিটে গেলে বাংলার মেয়েদের গায়ে হাত দিচ্ছে! এদিন এমনই খড়গহস্ত হয়ে মোদী সরকার ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিশানা করেন মমতা। তবে এসবের মাঝে একটু ব্রিদিং স্পেস দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বালাগড়ের (Balagarh) জনসভা থেকে ওই কেন্দ্রের প্রার্থী মনোরঞ্জন ব্যাপারীর (Manoranjan Byapari) রিকশা চালিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
এদিন তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি মনোরঞ্জন ব্যাপারী রিকশা চালিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে ছিলেন, এটা ফ্যাক্ট ?’ তখন দলীয় কর্মীদের থেকে সমর্থন পেয়ে তিনি বলেন, ‘ভেরি গুড। আমি নিজেও রিকশা চালাতে পছন্দ করি, স্কুটি চালাতে পছন্দ করি, আমি সব কিছু কাজ করতে পছন্দ করি।’ উল্লেখ্য, দু’মাস আগে মমতার স্কুটি চালিয়ে নবান্ন থেকে বাড়ির ফেরার কাণ্ড যথেষ্ট চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল সে সময়।
এসবের পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন বালাগড়ে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেন, ‘দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির একটি সেকশন সেখানে তিনি গড়ে দেবেন, যাতে ভোটে জেতার পর অ্যাকাডেমির কাজ বালাগড় থেকেই করতে পারেন সাহিত্যিক প্রার্থী মনোরঞ্জন ব্যাপারী। এমনকি মমতার এও নির্দেশ মনোরঞ্জন ব্যাপারীর জেতার পর, তাঁর সবকাজে যেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা সাহায্য করেন।’