বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে বেজে গেছে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) দামামা। দিন কয়েকের অপেক্ষা মাত্র। তারপরেই ভোটানুষ্ঠান। ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই বাক্যবাণ হানছেন সমস্ত রাজনৈতিক নেতারা। অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। ঠিক এই আবহেই ফের একবার বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা (Opposition Leader) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘মুকুলকে বিরোধী দলনেতা করতে চেয়েছিলেন মমতা’, এমনই অভিযোগে সরব শিশির পুত্র।
ঠিক কী বললেন বিরোধী দলনেতা? সোমবার রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে তিঁনি বলেন, ‘মুকুল রায়কে (Mukul Roy) বিরোধী দলনেতা করতে জগদীপ ধনখড়ের মধ্যস্থতা চেয়েছিলেন মমতা (Mamata Banerjee)। ধনখড়ের মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, যিনি এখন আর দলেই নেই, তাঁর সঙ্গে ছিলাম। তাঁর সামনেই মমতার বার্তার কথা জানিয়েছিলেন ধনখড়। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মমতার সেই বার্তা প্রত্যাখ্যান করেন। তাই এত রাগ।’
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ২০২১ সালে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার ঠিক দু’দিন আগে, জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই , ধনখড়ের মধ্যস্থতায় মুকুল রায়কে বিরোধী দলনেতা করতে চেয়ে নয়াদিল্লিতে সেকথা জানান মমতা। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাতে সাড়া দেননি। শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পাল্টা দাবি, ‘মস্তিষ্ক–বিকৃতি থেকেই ভুল বকছেন শুভেন্দু।’
প্রসঙ্গত,তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে দলের সাথে জড়িত মুকুল রায়। তবে, সবাইকে চমকে দিয়ে ২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। তারপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিঁনি। কিন্তু মুকুলের সেই পদ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মাত্র একমাসের মধ্যেই তৃণমূলে ফিরে যান তিঁনি। এরপর থেকে রাজনীতির মূলস্রোতে খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না মুকুল। তবে এবার পঞ্চায়েত ভোটে মুকুলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের অধিকাংশের।