Ekchokho.com 🇮🇳

‘নতুন আইন আনুন’, সাইবার অপরাধ রুখতে অমিত শাহকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

Updated on:

Updated on:

Bengal Seeks Strict Digital Law from Centre

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর, গুজব আর প্রতারণার জালে (Cyber Crime) জর্জরিত সাধারণ মানুষ। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রবীণরাও পড়ছেন অপমান আর ফাঁদে। এই পরিস্থিতিতে কড়া সাইবার আইন (Cyber Crime Law) আনার দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Saha) একটি চিঠি লিখে তিনি বলেছেন, এখনই সময় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার। নইলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন, ডিজিটাল জালিয়াতি এখন ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। কে কার প্রেমে পড়ছে, কে কী বলেছে—তা নিয়েও তৈরি হচ্ছে মিথ্যে কাহিনি। নেটদুনিয়ার এই হিংস্রতা থেকে বাদ যাচ্ছে না কেউই। অল্পবয়সিদের টার্গেট করে ছড়ানো হচ্ছে পর্নোগ্রাফি, প্রবীণদের ফাঁদে ফেলে নেওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্কের OTP। সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে এমন অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে সাইবার থানায়।

আইনের অভাবেই বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে প্রতারকরা

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “সোশাল মিডিয়ায় যা চলছে তা ভয়ঙ্কর। একটা পোস্ট সমাজকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে তা আমরা বারবার দেখেছি।”  তাঁর মতে, শুধু আইনি ব্যবস্থা নয়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ক্ষেত্রে জনসচেতনতাও তৈরি করতে হবে। আইন থাকলেও, অপরাধীদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তি না দিলে কোনও লাভ নেই।

নতুন আইন, না হয় সংশোধন চাইছে বাংলা

চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “বর্তমান আইন যদি যথেষ্ট না হয়, তাহলে সংসদে নতুন আইন আসুক। না হয় পুরনো আইনগুলো সংশোধন করা হোক।” তাঁর দাবি, কেন্দ্র চাইলে এখনই হস্তক্ষেপ করতে পারে। কারণ, এ অপরাধ শুধু রাজ্যের সমস্যা নয়, গোটা দেশের নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতির প্রশ্ন।

আরও পড়ুন : রাজ্য বিজেপিতে ‘শমীক অধ্যায়’ শুরু হতেই শাসক দলে ভাঙন! দল ছাড়ার হুমকি মমতার হেভিওয়েট মন্ত্রীর

Bengal Seeks Strict Digital Law from Centre

সোশাল মিডিয়ায় লাগাম টানতে প্রস্তুত রাজ্য, এবার নজর কেন্দ্রের দিকে

রাজ্য ইতিমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। পুলিশকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। কয়েকটি পোস্ট সরানোর জন্য সোশাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তাতে বড় কোনও ফল আসছে না। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এখনই যদি গোটা দেশের জন্য কড়া আইন না আনা হয়, তাহলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।