বাংলাহান্ট ডেস্ক: টানা ২১ দিনের লকডাউনের (lockdown) আজ শেষ দিন, থুড়ি হওয়ার কথা ছিল। কারন পশ্চিমবঙ্গ সহ আরও কয়েকটি রাজ্যে লডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, লকডাউন চলবে তবে তা ‘মানবিক’ ভাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দেশের মানুষের কথা ভেবে ত্রাণের ব্যবস্থা করেছেন। গরীবরা পাবে বিনামূল্যে রেশন আর বাকিদের জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে বাজারের সময়সূচী।
কিন্তু এটা ভারতবর্ষ। এখানে প্রতিদিনই লাখ লাখ মানুষ খালি পেটে বা আধপেটা খেয়েই ঘুমায়। এখানে বহুতল ঝাঁ চকচকে আবাসনের পাশেই গা ঘেষে থাকে ঘিঞ্জি বস্তি। যেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার কৃষক আত্মহত্যা করে ঋণের বোঝায়, বেকার যুবকও বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ সেখানে এই দীর্ঘ লকডাউনে পরিস্থিতিটা কেমন হবে তা কি আর নতুন করে বলে দিতে হয়?
ইতিমধ্যেই খবরের শিরোনামে উঠে আসতে শুরু করেছে শিহরন জাগানো সব খবর। কোথাও কাজ চলে যাওয়ায় আত্মহত্যা করছে শ্রমিক, কোথাও আবার পেটের দায়ে রাস্তার কুকুরের সঙ্গে কাড়াকাড়ি করে ডাস্টবিনে ফেলা খাবার খাচ্ছে মানুষ। মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্তের নিয়ম ভেঙে বাজার দখল করার ছবির পাশেই জায়গা করে নিচ্ছে এইসব ছবিও। আবারও এমনই এক দৃশ্য দেখল দেশের মানুষ। রাস্তায় গড়িয়ে যাওয়া দুধ (milk) ভাগ করে খাচ্ছে মানুষ (man) আর কুকুর (dogs) । ঘটনা আগ্রার রামবাগ চৌরাহার। এক ব্যক্তির দুধের ট্যাঙ্কি উলটে যায়। ফাঁকা রাস্তায় সেই গড়িয়ে যাওয়া দুধই দুহাত ভরে নিয়ে একটি পাত্রে রাখছেন এক ভবঘুরে। কিছুটা দূরেই সেই দুধই চেটে খেতে ব্যস্ত কয়েকটি কুকুরের দিকে ভ্রূক্ষেপও করছেন না।
Lockdown Impact:
इंसान और जानवर साथ साथ दूध पीने लगे।
आज अगरा के रामबाग चौराहे पर एक दूध वाले की दूध की टंकी गिर गयी।फिर क्या हुआ खुद देखिए। pic.twitter.com/OWvNg8EFIe— Kamal khan (@kamalkhan_NDTV) April 13, 2020
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই দৃশ্য। দেখে চোখে জল এসেছে অনেকেরই। কিন্তু এটাই কঠিন বাস্তব। একদিকে যেমন মাস্ক পরা মধ্যবিত্তরা বাজারে দরদাম করছেন তেমনই অপরদিকে কারওর কাছে সন্তানের মুখে তুলে দেওয়ার মতো দুধটুকুও নেই। এটা ২১ দিনের পরিস্থিতি। ভবিষ্যতে লকডাউনের জেরে হয়তো বা করোনা চলে যাবে। কিন্তু এই মানুষগুলো তখন কোথায় থাকবে বা আদৌ কি থাকবে? প্রশ্নটা তুলে ধরছে এই ভিডিও।