দুনিয়াতে যে রোজ কত আজব ঘটনা ঘটে চলে তা জানলে প্রত্যেক মানুষই খুবই অবাক হবেন। এরকমই একটা অবাক করা ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বিজনরে। একজন ব্যাক্তি শ্মশান থেকে মানুষের হাত কুড়িয়ে এনে তার স্ত্রীকে বলেন এই হাত দিয়ে রাতের রান্না করার জন্য।আর এই ঘটনা দেখার সাথে সাথেই ওই ব্যাক্তির স্ত্রী আতকে ওঠেন। আর অজ্ঞান হয়ে যান। কিন্তু ঘণ্টা দুই পর জ্ঞান ফেরার পর সে ভয়ে শিউরে ওঠে, কারন তার স্বামী নিজেই সেই হাত দিয়ে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে চলে যায়।
এই ঘটনায় রীতিমতো অবাক হয়ে তিনি তার স্বামীকে দরজা দিয়ে ঘরে আটকে রেখে বাইরে যান। আর বাইরে গিয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের ডাকেন, আর পুলিশকেও খবর দেন। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ জানিয়েছে, কাছের শ্মশান থেকে তিনি একটি মানুষের হাত নিয়ে এসেছিলেন।ওই ব্যাক্তি মাদকাসক্ত এবং তার মানসিক সমস্যার কারনেই তিনি এমন কাজ করেছেন বলে জানায় পুলিশ। অভিযুক্তের নাম সঞ্জয়, যিনি উত্তরপ্রদেশের টিক্কোপুর গ্রামের বাসিন্দা। এলাকার লোকজনের মতে, সঞ্জয় একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই হাতটি টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল।কিছুদিন আগে তিনি তার বাবাকেও আক্রমণ করেছিলেন বলে জানা যায়। আর এই ঘটনায় ওই যুবককে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এসএইচও আরসি শর্মা জানিয়েছেন, পুলিশ সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে মানুষের মাংস পেয়েছিল। যুবককে আটক করা হয়েছে। প্রিমার মুখোমুখি দেখা যাচ্ছে যে তিনি এটিকে গঙ্গার তীরে শ্মশান থেকে নিয়ে এসেছিলেন।
এসপি সঞ্জীব তায়াগী জানান, সঞ্জয় নামে অভিযুক্ত বিজননর গঙ্গা ব্যারেজ শ্মশান থেকে মৃতদেহের হাত কুড়িয়ে এনেছিলো। পুলিশ বলেছে যে অভিযুক্ত সঞ্জু মানসিক রোগী। এর আগে তিনি তার বাবাকে হত্যার অভিযোগে তিনি কারাগারেও গেছেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে, এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু পুলিশ এই পুরো ঘটনাটা খতিয়ে দেখছে।