বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই বছরে উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর অকৃতকার্যদের আন্দোলনে রীতিমতো চমকে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গবাসী। বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ থেকে শুরু করে মিছিল অবধি করে পরীক্ষায় অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীরা। বিভিন্ন জায়গায় প্লাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। তাদের দাবি ছিল যে, যেমন ভাবেই হোক এইচএসে পাস করাতেই হবে। তাদের পরীক্ষার ফলাফল আদৌ কতটা বিশ্বাসযোগ্য সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে। এই আন্দোলনের সময় ভাইরাল হয় এক ছাত্রীর স্লোগানরত ভিডিও।
সেই ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যায় একটি ছাত্রীকে কেউ জিজ্ঞেস করে ইংরেজি “হায়ার সেকেন্ডারি” বানানটি । প্রশ্নটি শুনে কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর ছাত্রীটি “মানছি না মানব না” স্লোগান দিয়ে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এরপরই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় এই ভিডিওটি। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি নিয়ে শুরু হয়ে যায় মিম তৈরি। সোশ্যাল মিডিয়ায় উড়ে আসতে থাকে কটুক্তি।
সম্প্রতি জানা গেছে ভাইরাল হওয়া ওই ছাত্রীটি শক্তিগড় হাই স্কুলের পড়ুয়া। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রাণকুমার রায় জানিয়েছেন তিনি ওই ছাত্রীটিকে চেনেন না। তার বক্তব্য, “ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি আমি দেখিনি। কিন্তু ওই ছাত্রটি আমাদের স্কুলেরই কিনা তা আমার জানা নেই।” প্রসঙ্গত উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর শক্তিগড় হাই স্কুলের সামনে আন্দোলন শুরু করে অকৃতকার্য পড়ুয়ারা। এই ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, “এ বছর স্কুটিনি হয়েছে অনলাইনে। এক্ষেত্রে স্কুলের কোনও হাত ছিল না।”
চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক ফল প্রকাশের পর অকৃতকার্য পড়ুয়াদের একাংশ শুরু করে আন্দোলন। তাদের দাবি ছিল ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করানো হয়েছে। এমনকি তারা এও দাবি করে অন্যান্য বিষয় ভালো নম্বর পেলও কোনো দুই একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কম নম্বর দেওয়া হয়েছে। এই সকল পড়ুয়াদের ভিডিও দেখে রীতিমত ট্রোলের বন্যা বইতে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সমাজের বিশিষ্টজনদের বক্তব্য, এই ধরনের ভুল বানান বলা থেকে কারোর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠানো ঠিক নয়।