বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবারও বড়সড় মোড়। দীর্ঘ আইনি জট কাটিয়ে অবশেষে তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পথে আর কোনও বাধা রইল না। রাজ্যপালের অনুমোদন মেলায় এই মামলায় নতুন মোড় আসতে চলেছে।
গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিন পেয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। পরে তিনি জামিন পান। এবার সেই মামলাতেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সবুজ সংকেত মিলল। শুধু মানিক ভট্টাচার্য নন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বিরুদ্ধেও বিচার শুরু করার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা নেই।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দাখিল হওয়া চার্জশিটে মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) এবং রত্না চক্রবর্তী বাগচীর নাম রয়েছে। তবে এতদিন রাজ্যপালের অনুমোদন না থাকায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে রাজভবনের তরফে সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, এখন বিচার শুরুর ক্ষেত্রে আর কোনও আইনি জট নেই। আদালত জানিয়েছে, আগামী বছরের ১৪ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেই দিন চার্জশিটে নাম থাকা সমস্ত অভিযুক্তকে সশরীরে আদালতে হাজির থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মোট ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়। যে সময় এই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তাঁর সম্পত্তি নিয়েও নানা প্রশ্ন ওঠে। শুধু মানিক ভট্টাচার্য নন, এই মামলায় তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে একে একে তিনজনই জামিন পান।

আরও পড়ুনঃ কোভিডে প্রাণ হারানো বেসরকারি চিকিৎসকদের পরিবার পাবে ৫০ লক্ষ, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দাবি, মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) হয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলতেন বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিভাস অধিকারী। রাজ্যপালের অনুমোদনের পর এবার সেই সমস্ত অভিযোগেরই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে, এমনটাই স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত।












