বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘পয়সা বেশি থাকলেই সবসময় মন বড় হয় না’, বাঙালির মুখে মুখে প্রায়শই এই প্রবাদটি ঘোরাফেরা করতে শোনা যায়। বর্তমানে একটি ঘটনা সেই প্রবাদটিকেই যেন সত্য প্রমাণ করলো। ঘটনাটির সর্বত্র জুড়ে রয়েছেন বর্তমানে বাংলার সবচেয়ে আলোচ্য নাম মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে কোটি কোটি সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠলেও বর্তমানে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধেই কিনা খাবারের ৫০ টাকা বাকি রাখার অভিযোগ উঠেছে! বিষয়টি কল্পনাতীত হলেও এহেন ঘটনার সাক্ষী বিধানসভার (Bidhan Sabha) ক্যান্টিন।
প্রাথমিক টেট সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অশোক সাহা এবং সুবীরেশ ভট্টাচার্যের মতো একাধিক নেতা ও শিক্ষার আধিকারিকরা হেফাজতে। এই পরিস্থিতিতে গত সোমবার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে ইডির হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।
কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মানিকের বিরুদ্ধে। সেই ব্যক্তর বিরুদ্ধেই এবার খাবারের ৫০ টাকা বাকি রাখার অভিযোগ উঠল। ঘটনার কেন্দ্রস্থল বিধানসভার ক্যান্টিন, যেখানে একদা ঘুঘনি, পাউরুটি আর অমলেট খেলেও সেই খাবার বাবদ ৫০ টাকা দেননি মানিক ভট্টাচার্য। এহেন অভিযোগ সামনে আসতেই বর্তমানে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে সকলের।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একদা বিধানসভার ক্যান্টিন থেকে ঘুঘনি, অমলেট এবং পাউরুটি খেয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তবে সেই টাকা এখনো পর্যন্ত পায়নি ক্যান্টিনের এক কর্মী ফলে তৃণমূল বিধায়কের গ্রেফতারির পর সেই টাকার আবদার করে বসেছেন ওই ব্যক্তি।
মানিক ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা যাচ্ছে, যেদিনকার ঘটনার জেরে এই অভিযোগ উঠছে, ওই দিন মানিকবাবুর কাছে দু হাজার টাকার নোট ছিল। সেই কারণেই তিনি ৫০ টাকা দিতে সক্ষম হননি। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে ৫০ টাকার পাশাপাশি পুজোতে হাত খরচ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্যান্টিনের ওই কর্মীকে। তবে এক্ষেত্রে পুজোয় হাত খরচ তো দূরের কথা, মানিকবাবুর গ্রেফতারির পর খাবারের ৫০ টাকা আদৌ মিলবে কিনা, সেই বিষয়টি ভেবেই সন্দিহান ক্যান্টিনের ওই যুবক। এখন দেখার, মানিক বনাম তদন্তকারী সংস্থার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ক্যান্টিন কর্মীর ভাগ্যের চাকা ঘোরে কিনা।