বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ সাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে শুরু, তারপর একে একে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বহুজনা। শিক্ষা কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সেই থেকে জেলেই দিন কাটছে তার।
এবারও জামিন অধরা মানিকের
ওদিকে নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র ধরেই মানিকের স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যকেও গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যদিও কিছুদিন আগে প্রথমে মানিক পত্নী, তারপর জামিনে মুক্তি পান তাদের পুত্রও। বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন শুধুই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি।
এর আগে বহুবার জামিনের আবেদন জানিয়েছেন মানিক। সুপ্রিম করতেও ছুটেছেন। তবে সুরাহা মেলেনি। এবার নিজের জামিনের আর্জি জানাতে গিয়ে এদিন এজলাসে কেঁদে ভাসালেন মানিক। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে মানিক মামলা শুনানির জন্য ওঠে। তবে এদিনও জামিন হচ্ছে না বুঝতে পেরেই হাউ মাউ করে কান্না শুরু করেন মানিক।
মানিকের কান্না দেখে অবাক হয়ে বিচারপতি জানতে চান তার কি হয়েছে। মানিক বলেন, “দু’বছর জেল খেটে ফেললাম, এবার আমায় দয়া করে জামিন দিন! আমি তো আর বেশি দিন বাচব না!” হঠাৎ এ কথা বলছেন কেন? বিচারপতির প্রশ্নে মানিক বলেন, “২০১৬ সালে আমার অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সেই সময় চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, আর ১০ বছর বাঁচব। ২০২৬ সালেই আমার আয়ু শেষ!”
আরও পড়ুন: ফের ভাতা বাড়ালেন মমতা, রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট সুখবর
মানিকের কথা শুনে ইডির উদ্দেশে প্রশ্ন করে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে এখনও আটকে রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি? কেন তাকে জামিন দেওয়া হবে না?’’ ইডির আইনজীবী ফিরোজ জানান, নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক তছরুপের মামলা মানিক অন্যতম মূল অভিযুক্ত এই মানিক ভট্টাচার্য। তার বিরুদ্ধে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে। তাই পিএমএলএ আইন মেনেই তাকে জেলবন্দি রাখা হয়েছে।’ শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি।