বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দিনে উপার্জন করতেন ৫ টাকা, করতেন আবর্জনা পরিস্কারের কাজ। কিন্তু বর্তমানে কঠোর পরিশ্রমের ফলে আজ তাঁর বার্ষিক আয় এক কোটি টাকা। আজকের দিনে মঞ্জুলা ক্লিনার্স কোঅপারেশনের প্রধান হয়েছেন সেদিনের সেই বর্জ্য পদাৰ্থ বাছাই কর্মী মঞ্জুলা।
নিজের জীবনের লক্ষ্য স্থির থাকলে, সমস্ত বাঁধাই খুব সহজেই যে অতিক্রম করা যায়, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন মঞ্জুলা। ১৯৮১ সালে আহমেদাবাদের রাস্তায় বর্জ্য পদাৰ্থ বাছাইয়ের কাজ করতেন মঞ্জুলা ভাঘেলা। দিনে উপার্জন করতেন মাত্র ৫ টাকা। কিন্তু আজ এই বছর ৬০-র মহিলার সংস্থায় ৪০০ জনেরও বেশি লোক কাজ করেন।
মঞ্জুলা জানান, ‘কোনদিনই কঠোর পরিশ্রম করতে ভয় পাইনি। খুব ভোরে উঠেই কাজ শুরু করে দিতাম। জনগণের ফেলে দেওয়া আবর্জনা থেকে পুনর্ব্যবহৃত আবর্জনা সংগ্রহ করতাম কাঁধে থাকা বড় হ্যামকের মধ্যে। তার মধ্যে থেকেই পুনর্ব্যবহৃত আবর্জনা আলাদা করে নিতাম’।
এইভাবে পথ চলতে চলতে একদিন এমপ্লয়েড উইমেনস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা ইলা বেন ভাটের সঙ্গে দেখা হয় মঞ্জুলার। তিনিই তাঁকে মঞ্জুলার ক্লিনিং কোম্পানি শুরু করার পরিকল্পনা দেন। এরপর থেকেই ঘুরে যায় মঞ্জুলার জীবন। চলার পথে স্বামীকে হারালেও ভেঙে পড়েননি তিনি। ব্যবসা শুরু করে দ্রুতই প্রথম ক্লায়েন্ট ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইন-র সঙ্গে কাজ করেন। এরপর থেকে তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
আজকের দিনে মঞ্জুলা ক্লিনার্স কোঅপারেশনে ৪০০ জনেরও বেশি লোক কাজ করে, যারা ক্লিনার কো-অপারেট করেন। সেইসঙ্গে গুজরাটে তাঁরা ৪৫ টি প্রতিষ্ঠান এবং সমিতি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতার সুবিধা প্রদান করছে। একদিন যার দৈনিক আয় ছিল ৫ টাকা, সেই মহিলারই বর্তমানে বার্ষিক টার্নওভার ১ কোটি টাকা।