বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে সরকারি চাকরি পাওয়ার পরও অনেককে মাসের পর মাস বসে থাকতে হতো। কখন হবে পুলিশি যাচাই, কবে হবে স্বাস্থ্যপরীক্ষা, তা কেউ জানত না। এবার সেই সমস্যা কাটাতে নবান্ন কড়া নির্দেশ জারি করেছে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Pant) জানিয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে আর এই দেরি বরদাস্ত করা হবে না। ৩০ দিনের মধ্যে সমস্ত যাচাইয়ের কাজ শেষ করতে হবে। চাকরিপ্রার্থীদের আর অপেক্ষায় বসে থাকতে হবে না, এমনটাই আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
চাকরি মিললেই সঙ্গে সঙ্গে ইমেল যাবে
নবান্ন (Nabanna) বলছে, পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (WBPSC) বা যেকোনও সরকারি দফতর যখন কাউকে সুপারিশ করবে, তখনই সেই প্রার্থীকে খবর দিতে হবে। শুধু খবর নয়, ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি ও ইমেল মারফত জানিয়ে দিতে হবে কী কী করতে হবে। পুলিশি যাচাই, মেডিক্যাল টেস্ট বা প্রশিক্ষণের তারিখ কোথায় হবে, তা-ও লিখে দিতে হবে। আগে যেমন প্রার্থী কিছু না জানার কারণে দোটানায় ভুগতেন, এবার সেই সমস্যা আর হবে না।
মুখ্য সচিবের (Manoj Pant) এই নির্দেশে সবচেয়ে বড় বদল হচ্ছে সময়ের। সুপারিশপত্র হাতে পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যেই সব যাচাইয়ের কাজ শেষ করতে হবে। এমনকি যদি কোনও প্রার্থীকে ডেকে পুলিশ কথা বলতে চায়, সেটাও ওই সময়ের মধ্যেই করতে হবে। কেউ ইচ্ছা করে দেরি করলে প্রথমে তাঁকে সতর্ক করা হবে। একাধিকবার এমন করলে শাস্তিও হতে পারে।
এতদিন কেন এত দেরি হতো?
আগে অনেক চাকরির ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক হলেও পুলিশি ভেরিফিকেশন বা স্বাস্থ্যপরীক্ষা ঠিক সময়ে না হওয়ার জন্য প্রার্থীরা চাকরি করতে পারছেন না। কিছু ক্ষেত্রে তো বছরখানেক পেরিয়ে গেছে—তবু ফাইল নড়েনি। এই অকারণ বিলম্বের জন্য প্রশাসনের বদনাম হচ্ছিল। তাই এবার কড়া মনোভাব দেখাল নবান্ন।
আরও পড়ুনঃ ‘পদক্ষেপ করুন..,’ মুখ্যসচিবকে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের! কোন মামলায়?
সরকার বলছে, এখন থেকে কেউ চাকরি পেলে যেন আর দুশ্চিন্তায় না ভোগেন। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। চাকরি পাওয়া মানেই সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর পদক্ষেপ—এই ভাবনাতেই চলছে কাজ। সাধারণ প্রার্থীদের আশা, এই নিয়ম ঠিকমতো মানা হলে ভবিষ্যতে আর কেউ দীর্ঘদিন ‘চাকরি আছে অথচ নেই’ অবস্থায় থাকবেন না।