বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাবা-মায়েদের এমন অনেক অভ্যাসই থাকে, যা সন্তানরা হয়তো কখনই জানতে পারেন না। আমরা ছোট থেকেই তাঁদের সেই অভ্যাসগুলি দেখে আসি। কিন্তু কখনই জানতে পারি না, বা জানতে চাইও না যে কেন তাঁরা সেরকম করেন। অনেক সময় আবার জানতে চাইলেও তাঁরা আমাদের বলেন না। আমদেরই মধ্যে কিছু মানুষ আবার সেই অভ্যাসের কারণ জানতেও পারি।
এমনই এক ব্যক্তি মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর একটি অভ্যাসের কারণ জানতে পেরেছিলেন। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন তিনি। সেই পোস্ট দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে নেটপাড়া। নিজের মায়ের কোন অভ্যাসটি তাঁর জীবিত অবস্থায় জানতে পারেননি তিনি? এই কাহিনীর কেন্দ্রে রয়েছে একটি থালা। পোস্টদাতা জানিয়েছেন, প্রায় দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁর মা একটি স্টিলের থালায় খেতেন।
মৃত্যুর আগের দিন অবধিও তিনি সেই থালাতেই খাবার খেয়েছেন। কিন্তু কখনও মায়ের কাছে এর কারণ জানতে চাননি। মাথাতেও আসেনি সেই প্রশ্নের কথা। পোস্টদাতা ভেবেছিলেন হয়তো এমনিই তাঁর মা ওই নির্দিষ্ট থালায় খাবার খান। শুধু তাই নয়, পোস্টদাতা ও তাঁর বোনঝি ছাড়া কাউকে ওই থালায় খাওয়ার অনুমতিও দেননি মহিলা। সদ্য মাতৃহারা হয়েছেন পোস্টদাতা। তারপরেই জানতে পারেন এর পিছনে আসল কারণ।
This is Amma's plate.. she used to eat in this for the past 2 decades.. it's a small plate.. she allowed only myself and chulbuli (Sruthi, my niece) only to eat in this other than her.. after her demise only I came to know through my sister, that this plate was a prize won by me pic.twitter.com/pYs2vDEI3p
— Vikram S Buddhanesan (@vsb_dentist) January 19, 2023
বিক্রম এস বুদ্ধানেশন নামক ওই ব্যক্তি টুইটারে লিখেছেন, ওই থালাটি ক্লাস ৭-এ পড়াকালীন পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ ২৪ বছর বিক্রমের পাওয়া পুরস্কারের থালাটি সযত্নে রেখে দিয়েছিলেন তাঁর মা। শুধু রাখেননি। বরং ব্যবহারও করেছেন প্রতিদিন। সদ্য মায়ের মৃত্যুর পর এই কারণটি জানতে পেরে টুইটারে আবেগপ্রবণ পোস্ট করেছেন বিক্রম।
বিক্রমের এই পোস্টটি প্রায় ১.৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখেছেন। একইসঙ্গে, আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। সদ্য মা হারা বিক্রমকে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের জীবনের গল্পও জানিয়েছেন তাঁরা। টুইটারে নিজের মায়ের ব্যবহৃত থালাটির ছবি পোস্ট করে ঘটনাটি লিখেছেন বিক্রম।,