বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাধারণ চাষে ঠিকঠাক পাচ্ছিলেন না লাভ, যে কারণে তিনি পাল্টে ফেলেন চাষের ধরণটাই! আর তারপরেই কয়েকগুন বেড়ে যায় লাভের অঙ্ক। পাশাপাশি, তিনি হয়ে ওঠেন অন্যদের কাছে “রোল মডেল।” গুজরাটের বীরপুরের বাসিন্দা মনসুখ দুধত্রার চাষের কাহিনি চমকে দেবে আপনাকেও!
আগে আর পাঁচজনের মতোই দেশি ধনেপাতা চাষ করতেন মনসুখ। কিন্তু, তাতে উৎপাদন এবং আয় দুটোই ছিল কম। তারপরেই উচ্চফলনশীল চাষ শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি মনযোগ দিয়ে শুরু করেন আতার চাষও। এছাড়াও, ডালিম, পেয়ারা, পেঁপের মতো ফল চাষও করতে থাকেন তিনি। আপাতত, গুজরাটের পাশাপাশি তাঁরা মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যেও ফল বাজারজাত করছেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের চাষে উৎপন্ন আতা এখন দুবাইতেও রপ্তানি করা হয়।
তবে, মনসুখের এই কাজে সক্রিয়ভাবে হাত লাগিয়েছেন তাঁর দুই পুত্রও। এই প্রসঙ্গে মনসুখ জানিয়েছেন যে, “আমার দুই ছেলেই শিক্ষিত, কিন্তু চাকরির জন্য কোথাও যায়নি তারা। আপাতত তারা আমার কাজেই মন দিয়েছে এবং একসাথে চাষাবাদ করছে।” বর্তমানে তাঁরা সবাই মিলে প্রায় ১০ বিঘা জমিতে বাগান করেছেন। যেখানে দেশি এবং উচ্চফলনশীল আতার চাষ করা হয়। এই চাষ করেই তাঁরা বার্ষিক ১০ লক্ষ টাকারও বেশি উপার্জন করছেন।
বর্তমানে মনসুখের প্রায় ৯০০ টি হাইব্রিড জাতের আতা গাছ রয়েছে। যা থেকে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ কেজি ফলের উৎপাদন হয়। বাজারে আতার দাম এবং চাহিদা দুটোই বেশি থাকায় সুবিধাও হচ্ছে তাঁদের। বাজারে প্রতি কেজি আতা ৪০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করা যায়।
আতা চাষের প্রসঙ্গে মনসুখের ছেলে কেতন জানিয়েছেন যে, “আমার বাবা প্রায় ৫ বছর আগে এই চাষ শুরু করেন। সে সময় খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। তবে গত ৩ থেকে ৪ বছরে উৎপাদন দ্রুত বেড়েছে। পাশাপাশি আতার চাহিদাও বাড়ছে।”
পাশাপাশি, বিক্রির ক্ষেত্রে তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়াকেও ভালোভাবে ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছেন কেতন। তিনি বলেন, “আমাদের বাগান থেকে যে ফলই উৎপন্ন হয়, আমরা তা স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি অন্য রাজ্যেও পাঠাই। আমাদের নেটওয়ার্ক অনেক কৃষকের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি এখন আমরা সামাজিক মাধ্যমেও আমাদের পণ্য বাজারজাত করছি। তাই, দুবাইয়ের মতো দেশ থেকেও মানুষ আমাদের অর্ডার দিচ্ছে।”