বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী মোদীর (Prime Minister Modi) আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশবাসী ‘জনতা কার্ফু’ (‘People’s curfew) পালন করেছিলেন। কিন্তু বিকেল পাঁচটা বাজতেই তাল কাটে সেই কার্ফুর উদ্দেশ্যের। রাস্তায় হইহই করে বেড়িয়ে পড়েন অনেকে। বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হতে শুরু করেন তাঁরা। তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রবিবার সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটার আগে পর্যন্ত যাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কার্ফু পালন করেছিলেন, তাঁদের অনেকেই রাস্তায় একসঙ্গে জমায়েত করে উল্লাসে মেতে ওঠেন। সংক্রমণের আশঙ্কা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন অনেকে। তা দেখে বিশেষজ্ঞরা(Specialists) আক্ষেপ করেছিলেন, সারদিন গৃহবন্দি থেকে যতটা লাভ হয়েছিল, তা বিকেলে পুরোটাই জলাঞ্জলি দেওয়া হল।
করোনার থাবা ক্রমশ জোরাল হচ্ছে ভারতে। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর হারে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র ও রাজ্য। পরিস্থতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। সংক্রমণ রুখতে ২২ মার্চ জনতা কারফিউ-এর ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জরুরি পরিষেবায় জড়িতদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্য ঠিক বিকেল পাঁচটায় ৫ মিনিট হাততালি, কাঁসর-ঘণ্টা, থালা বাজানোর কথাও বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে রবিবার সকালে দেশবাসী ঘরবন্দি থাকলেও বিকেলে আচমকাই রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েন বহু মানুষ। কেউ রাস্তায় নেমে কাঁসর-ঘণ্টা বাজাতে শুরু করেন। কোথাও আবার জনতা কারফিউয়ের বিকেলে রাস্তায় ক্রিকেট খেলতে দেখা গেল কচি কাঁচাদের। সন্ধে গড়াতেই অন্যদিনের তুলনায় কম হলেও চায়ের ঠেকে জমে ওঠে আড্ডা। আর এতেই প্রধানমন্ত্রীর জনতা কারফিউ-এর ডাক চূড়ান্ত ব্যর্থ বলে দাবি করেন অনেকে।
Many people are still not taking the lockdown seriously. Please save yourself, save your family, follow the instructions seriously. I request the state governments to get the rules and laws followed: Prime Minister Narendra Modi pic.twitter.com/WK9vVZs742
— ANI (@ANI) March 23, 2020
আর সোমবার সকালে তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মোদী। একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘অনেকে এখনও লকডাউনকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন না। দয়া করে নিজেদের জীবন বাঁচান। পরিবারের জীবন বাঁচান। গুরুত্বের সঙ্গে নির্দেশ মেনে চলুন। রাজ্য সরকারগুলিকে আর্জি জানাচ্ছি, নিয়ম ও আইন পালন করানো হোক।’