বাংলাহান্ট ডেস্ক : রথযাত্রার দিনই বড়সড় অঘটন পুরীতে (Puri Rathyatra)। প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে বলরামের রথ টানতে গিয়ে ৫০০ জনেরও বেশি ভক্ত পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পান। হঠাৎ করেই রথের দড়ি টানার জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ ছুটে আসার ফলেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বলে খবর। পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় শয়ে শয়ে মানুষ পড়ে গিয়ে চোট পান।
রথযাত্রায় (Puri Rathyatra) বড়সড় অঘটন পুরীতে
সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন বলরামের রথ (Puri Rathyatra) তালধ্বজ এগোতে শুরু করে। একবারে শয়ে শয়ে ভক্ত ছুটে যান রথের দড়ি ধরবেন বলে। তাতেই তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা। ভিড়ের চাপে পড়ে গিয়ে প্রায় ৫০০-র ও বেশি ভক্ত আহত হয়েছে বলে খবর। ভিড়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
অনেককে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে: রিপোর্ট বলছে, আহতদের বেশিরভাগই সামান্য আহত হয়েছেন। তবে অনেক জনকে আবার হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলেও জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ১৭৩ জনকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। ওপিডিতে ভর্তি রয়েছেন ৬৮ জন। এর মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। তাদের পাঠানো হয়েছে জেলা সদর হাসপাতালে।
আরো পড়ুন : বাড়িতে অসুস্থ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সব শেষ! মাত্র ৪১-এ প্রয়াত ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল শেফালি
ভিড় সামলাতে ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা: রথযাত্রা উপলক্ষে প্রতি বছরই মাত্রাতিরিক্ত ভিড় হয় পুরীতে (Puri Rathyatra)। রথযাত্রার শুভ দিনে মন্দির থেকে বেরিয়ে রথে চেপে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে গুন্ডিচা মন্দিরে মাসির বাড়িতে যান জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রা। এই যাত্রার সাক্ষী থাকতে, একবার রথের রশি ছুঁতে পুরীতে (Puri Rathyatra) উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়। পরিস্থিতি সামলাতে প্রতি বছরই থাকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এ বছরও পুরী জুড়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল নিরাপত্তার চাদরে। প্রায় ১০ হাজার কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল আট কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। কিন্তু ভিড় নিয়ন্ত্রণে কড়া ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এড়ানো গেল না অঘটন।