বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমান বিশ্বে বৈজ্ঞানিকদের অন্যতম মাথা ব্যাথার কারণ গ্লোবাল ওয়ার্মিং (Global Warming)। ইতিমধ্যেই তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্বজুড়ে। এই গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলে ভবিষ্যতে পৃথিবীর বহু জায়গা চিরতরে হারিয়ে যাবে মানচিত্র থেকে। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতের কিছু দ্রষ্টব্য জায়গাও।
বিজ্ঞানীদের ধারনা আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর বহু জায়গা সাগরের নিচে চলে যাবে।
বর্তমান পৃথিবীতে বিখ্যাত বহু জায়গা আর দেখতে পাবে না ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। বিশেষজ্ঞদের ধারণা গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলে পৃথিবীর সাত আশ্চর্যের অন্যতম ভারতের তাজমহল বিলুপ্ত হয়ে যাবে। উত্তর প্রদেশের যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত তাজমহল।
তাজমহল (Tajmahal) যে কাঠের উপর অবলম্বন করে তৈরি সেই কাঠ যমুনা নদী থেকে জল সংগ্রহ করে। কিন্তু সেই যমুনা নদীর জল ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন রকম পোকামাকড় আস্তানা গড়তে শুরু করেছে তাজমহলের গোড়ার কাঠে। যমুনা নদী যদি শুকিয়ে যায় তাহলে ভবিষ্যতে ভেঙে পড়বে তাজমহল।
লাদাখের হেমিস ন্যাশনাল পার্কও (Hemis National Park) রয়েছে এই তালিকায়। স্নো লেবার্ড এর এই পার্ক ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। স্নোলি পার্ট এর সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। এছাড়াও সিমলার সিভিক সেন্টার গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হিমাচল প্রদেশের এই সিভিক সেন্টারটি বিলুপ্ত হতে বসেছে।
অসমের মাজুলী দ্বীপও (Majuli Island) ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হতে পারে। বর্তমানে এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে খুবই পরিচিত ও প্রিয়। ১২০০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত আগে বিস্তৃত ছিল এই জায়গাটি। এই দ্বীপের মাটি ক্ষয়ে যাওয়ার ফলে বর্তমানে এটি জলের তলায় চলে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন সম্পূর্ণ জায়গাটি ২০৪০ সালের মধ্যে চলে যাবে জলের তলায়।
পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন (Sundarban) পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অঞ্চল। বহু পর্যটক এই অঞ্চলে প্রতি বছর ঘুরতে আসেন। বৈজ্ঞানিকদের আশঙ্কা এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য ও এখানকার রয়েল বেঙ্গল টাইগার খুব দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাবে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলে সুন্দরবন অঞ্চল খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবে জলের তলায়।