ফের রাজ্যে জেগে উঠেছে মাওবাদীরা! নদিয়া-মুর্শিদাবাদে তৈরি হচ্ছে বোমা আগ্নেয়াস্ত্র, NIA রিপোর্ট দিল কেন্দ্রকে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি। বোমা–গুলি–বিস্ফোরক রাজ্যের নানা জায়গা থেকে উদ্ধার করছে পুলিস। প্রশাসনের সামনে এখন প্রশ্ন এই সব আসছে কোথা থেকে?‌ এবার এই প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া গেল। এবং যা জানা গেল তাতে ঘুম উড়ে যাবে সরকারে। পশ্চিমবঙ্গে আবারও বিস্ফোরক এবং আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করা শুরু করেছে মাওবাদীরা (Maoists)। একটি পুরনো মামলার তদন্তে নেমে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ’‌র গোয়েন্দারা। এই তদন্তের একটি রিপোর্টও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

দিল্লিতে পাঠানো রিপোর্টে এনআইএ জানিয়েছে, নদিয়া জেলা এবং বাংলা–বিহার সীমান্ত কিষানগঞ্জে বিস্ফোরক এবং আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করছে মাওবাদীরা। সেগুলিই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে ভয়ংকর নাশকতার জন্য। সিপিআই মাওবাদ দলের স্কোয়াড সদস্যদের আইইডি, ল্যান্ডমাইনের মতো বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। এর আগে লালগড় আন্দোলনের সময় জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা এমন বিস্ফোরক তৈরি করত। কিন্তু কিষেণজির মৃত্যুর পর বাংলায় মাওবাদীদের অস্ত্র এবং বিস্ফোরক তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে মাওবাদীরা সেই কাজ আবার শুরু করেছে বলে দাবি এনআইএ’র গোয়েন্দাদের।

গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো কয়েকটি জেলায় মাওবাদীদের অতি সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে। সম্প্রতি মাওবাদী নেত্রী জয়িতা দাসকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। আবার পশ্চিমবঙ্গের ভূমিপুত্র তথা অসমের মাওবাদী নেতা নির্মাণকেও নদিয়া থেকেই গ্রেফতার করে এনআইএ। তাদের থেকেই জানা যায়, এরাজ্যে বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এরপর তদন্তে নেমে যা মিলেছে তাই রিপোর্ট আকারে স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠিয়েছে এনআইএ।

এই বছরের মার্চ মাসে অসমে ধৃত প্রবীণ মাওবাদী নেতা কাঞ্চনদার সঙ্গে গ্রেফতার হয় অর্জুন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পারে, জঙ্গলমহল ছাড়াও নদিয়ার বার্নিয়া, বারাসতের শাসন, মুর্শিদাবাদের নওদা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর এলাকায় মাওবাদীদের গোপন আস্তানা রয়েছে। এই সূত্র ধরে তদন্ত করে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক তৈরির কাজ আবারও শুরু হয়েছে পুরোদমে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর