বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাতে গোনা আর মাত্র দুটো দিন, তারপরেই শুরু হবে বড়দিনের উৎসব। আর তার কয়েকদিন বাদেই নতুন বছর ২০২৪ সালের ২৩ শে জানুয়ারি ও ২৬ শে জানুয়ারির অনুষ্ঠান তো আছেই ।এসব নিয়ে ব্যস্ত এখন পুলিশ প্রশাসন থেকে সমস্ত মানুষ। আর এই ব্যস্ততার মধ্যেই ঘটে গেল ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। আর তার ফলে, ব্যাহত হাওড়া-মুম্বই রুটের ট্রেন চলাচল।
শুক্রবার ভোরে ঝাড়খণ্ডের মনোহরপুর এবং গোইলকেরার মধ্যে রেললাইনের একটা বড় অংশ বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিল নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সদস্যরা বলে জানা গেছে। চক্রধরপুর রেলওয়ে বিভাগের গোইলকেরা এবং পোসাইতা রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে দুটি পোলের মধ্যে তৃতীয় লাইনে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বেশ কয়েকটি ফিশপলেট ভেঙে গিয়েছে।
আরোও পড়ুন : আর মাত্র কয়েক দিন, আসছে সুখবর! হাওড়া নয়, তবে বাংলা দিয়েই ছুটবে দেশের প্রথম ‘অমৃত ভারত’
লাইনেরও গুরুতর ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি ব্যানার এবং পোস্টার ফেলে রেখে গিয়েছে ওই মাওবাদী সংগঠন। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ২২ ডিসেম্বর ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সিপিআই (মাওবাদী)। সেই বনধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেল লাইনে বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। উল্লেখ্য ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটার পরই, বেশ কয়েকটি ট্রেনকে রাতে অন্যান্য স্টেশনে থামিয়ে দিতে হয়।
আরোও পড়ুন : ‘খামতি তো থেকেই যায়…’ লোকসভায় আদৌ কী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন? এবার উত্তর দিলেন স্বয়ং দেব
সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে এলাকা থেকে যাত্রীদের সরিয়েও ফেলা হয়। মনোহরপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় যোগনগরী ঋষিকেশ পুরী উৎকল এক্সপ্রেস। এছাড়া, মনোহরপুরে পোরবন্দর শালিমার এক্সপ্রেস, জগদলপুর হাওড়া এক্সপ্রেস, গোয়েলকেরায় শালিমার এলটিটি এক্সপ্রেস, রৌরকেল্লায় পুনে হাওড়া এক্সপ্রেস, চক্রধরপুরে হাওড়া সিএসএমটি এক্সপ্রেসক দাঁড় করিয়ে দেয়া হয় ।
এই দুর্ঘটনার পর পশ্চিম সিংভূমের পুলিশ সুপার আশুতোষ শেখর জানিয়েছেন, “ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকে রেলওয়ে ট্র্যাক মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই ট্রেন পরিষেবা ফের চালু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মাওবাদীরা ওই এলাকায় ব্যানার এবং পোস্টারও ফেলে গিয়েছে।”