বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy) আরব সাগরে একটি অত্যন্ত কঠিন অভিযান সফলভাবে পরিচালনা করেছে। গত শনিবার নৌবাহিনী ৪০ ঘন্টার দীর্ঘ অভিযানে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি রুয়েনের ১৭ জন ক্রু মেম্বারকে উদ্ধার করেছে এবং ৩৫ জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছে। এদিকে, ভারতীয় বায়ুসেনাও (Indian Air Force, IAF) নৌবাহিনীর এই অভিযানে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিল। এমতাবস্থায়, গত রবিবার বায়ুসেনা এই অপারেশনের ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে বিমান বাহিনীর C-17 বিমানটিকে আরব সাগরে MARCOS কমান্ডোর সাথে দু’টি ফাইটার বোটকে নির্ভুলভাবে এয়ারড্রপ করতে দেখা গিয়েছে।
MARCOS কমান্ডোদের করা হয় এয়ারড্রপ: ভারতীয় বায়ুসেনা রবিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ জানিয়েছে, “একতা ও ঐক্যের অসাধারণ প্রদর্শনে, IAF C-17 বিমান অ্যান্টি পাইরেসি অপারেশনের সময়ে আরব সাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীর MARCOS কমান্ডোদের সাথে দু’টি কমব্যাট রাবারাইজড রেইডিং ক্রাফ্ট (CRRC) বোটের সুনির্দিষ্ট এয়ারবর্ন ড্রপ সম্পন্ন করেছে।”
In a remarkable display of #Jointness & #Integration, an IAF C-17 aircraft executed a precision Airborne Drop of two Combat Rubberised Raiding Craft (CRRC) boats, along with Indian Navy MARCOS in Arabian Sea in support of ongoing anti piracy Op Sankalp.
Flying for almost 10 hrs… pic.twitter.com/DEMgvZQI1N
— Indian Air Force (@IAF_MCC) March 17, 2024
পাশাপাশি, সেখানে আরও জানানো হয়েছে যে, “ভারতীয় উপকূল থেকে প্রায় ২,৬০০ কিলোমিটার দূরে একটি এলাকায় প্রায় ১০ ঘন্টা উড়ানের পর কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েনের ক্রুদের উদ্ধারের জন্য এই অভিযান চালানো হয়েছিল। এই জাহাজটি ইয়েমেনের সোকোট্রা দ্বীপের কাছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা ছিনতাই করে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় বায়ুসেনা, নৌবাহিনীর সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করে, মিশনটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে এবং জাহাজে থাকা ১৭ জন ক্রুকে নিরাপদে উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: সোমবারে ফের ডার্বি! হারের বদলা নিতে প্রস্তুত লাল-হলুদ, কোথায় মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান?
এর আগে গত রবিবার, নৌবাহিনী বলেছিল যে ওই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাওয়া জাহাজ হাইজ্যাক করার জন্য সোমালিয়ার জলদস্যুদের পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করতে আরব সাগরে আইএনএস কলকাতাকে মোতায়েন করা হয়েছে। নৌবাহিনী জানিয়েছে, “বাণিজ্যিক জাহাজ রুয়েনকে ১৫ মার্চ আইএনএস কলকাতা থামিয়েছিল। জাহাজটিকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হাইজ্যাক করা হয় এবং সেটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।”
আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! এবার সিম পোর্ট করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এত দিন! নিয়ম পরিবর্তন TRAI-এর
জলদস্যুরা নৌবাহিনীর ড্রোনে গুলি করে: এটাও জানানো হয়েছে যে, আইএনএস কলকাতা একটি জাহাজ থেকে লঞ্চ হওয়া ড্রোনের মাধ্যমে এমভি রুয়েনে সশস্ত্র জলদস্যুদের উপস্থিতি শনাক্ত করেছে। নৌবাহিনী জানিয়েছে, “একটি বেপরোয়া শত্রুতামূলক পদক্ষেপে জলদস্যুরা ড্রোনটিকে গুলি করে এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজে গুলি চালায়। তবে, আইএনএস কলকাতা ওই জাহাজের স্টিয়ারিং সিস্টেম এবং নেভিগেশনাল সহায়তাকে নিষ্ক্রিয় করে, জলদস্যুদের জাহাজটিকে থামাতে বাধ্য করে।”