পাকিস্তানের ইমরান খানের (imran khan) সরকারের বিরুদ্ধে বাড়ছে গণরোষ। একের পর এক আক্রমণে সরকারকে বিঁধছেন বিরোধীরা। সেই বিরোধী দলের অন্যতম প্রধান মুখ নাওয়াজ শরিফ (nawaz sharif) কন্যা মরিয়ম। তিনি অভিযোগ করলেন জেলে থাকাকালীন তার বাথরুমে ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর (PML-N) এর সহ সভাপতি নাওয়াজ কন্যা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছে, তাকে দুবার জেলে যেতে হয়েছিল। তিনি বলেন মহিলা হওয়া সত্ত্বেও তার প্রতি যে আচরণ করেছিল জেল কর্তৃপক্ষ তা অত্যন্ত অবমাননাকর। এবং তা হয়েছিল ইমরান সরকারের অঙ্গুলিহেলনেই। তিনি বলেন, “যদি বলা শুরু করি তা হলে ওঁরা মুখ দেখাতে পারবেন না।”
আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মরিয়মকে। চৌধুরি সুগার মিলসকে অবৈধ আর্থিক লেনদেন ও তার শেয়ার বেআইনি কায়দায় হস্তান্তরে ব্যবহার করেছে এমনটাই অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে । ২০০৮ সালে ওই মিলের শেয়ারের মাধ্যমে ৭০ লক্ষ টাকার বেশি অর্থমূল্যের শেয়ার মরিয়মের নামে সরানো হয়েছে,পরে তা ২০১০-এ হস্তান্তর করা হয় বলে দাবি করেছিল পাক প্রশাসন।
শুধু মরিয়ম নয়, সরকারের রোষের শিকার গোটা পরিবারই। এমনকি চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনে গেলে নাওয়াজকেও পলাতক ঘোষণা করে দেয় সে দেশের সরকার। এমনকি তাকে ফেরানোর জন্যও আবেদন করা হয়। নাওয়াজ শরিফের সামনেই তাকে জোর করে গ্রেপ্তার করার অভিযোগও করেছেন মরিয়ম। পাকিস্তানের মহিলা সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নাওয়াজ কন্যার স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, বিশ্বের কোনো প্রান্তেই নারীরা দুর্বল নয়।