বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কুপওয়ারা শহরে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ গাজীপুরের সিআরপিএফ জওয়ান অশ্বিনী কুমার যাদবের (Ashwini Kumar Yadav) শেষকৃত্য বুধবার তাঁর জন্মভূমি চাকদৌদে পুরো সামরিক সম্মানের সাথে করা হল। শহীদ অশ্বানীর চার বছরের ছেলে আদিত্যের তার সৎকার করে। দূরে দাঁড়িয়ে তাঁর ছয় বছরের মেয়ে আয়েশা তাকে সেলাম জানায়। এই দৃশ্যগুলি দেখে মানুষের চোখ জলে ভরে উঠেছে।
শহীদ অশ্বানীর স্ত্রী আনশু স্বামীর মৃতদেহের কাছে পৌঁছানোর তিনি কিছুক্ষণ শান্ত ছিলেন। তারপরে তিনি হাততালি দিয়ে স্বামীর বীরত্বকে স্বাগত জানান। এটি দেখে অন্যেরাও তালি দিলেন। গ্রামের মহিলারা আঁশুর কাছে এসে তাকে মালা পড়ালেন। আনশু বলেন, আপনার স্বামী দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে আমাদের মূল্য বৃদ্ধি করেছে।
শহীদের স্ত্রী বলেন, উনি কন্যাকে ডাক্তার বানাতে চাইতেন। আমি চেষ্টা করব মেয়েকে ডাক্তার বানাতে। তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী কন্যাকে ডাক্তার করতে চেয়েছিলেন। আমি এখন তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। ‘এদিকে, সিআরপিএফ (CRPF) কর্মকর্তারা পরিবারের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি চাই আমার সন্তানদের জীবনযাপনের দায়িত্ব নেওয়া হোক। তাহলে আমি আমাদের বাচ্চাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।’
শহীদ সিআরপিএফ জওয়ান অশ্বিনী কুমার তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় ছিলেন, তার দুই ছোট ভাই অঞ্জানী ও আমান রয়েছে। শহীদ জওয়ান অশ্বণী যাদব ২০১২ সালে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের একটি-বছরের কন্যা পরী এবং একটি তিন বছরের ছেলে আদিত্য রয়েছে।
ইউপি সরকার শহীদ পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান এবং পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে ২৫ লাখের অবদান দেওয়া হয়েছিল। শহীদকে শ্রদ্ধা জানানোর পরে ডিএম ও এসপি তার স্ত্রীর হাতে ২০ লাখ টাকা এবং তার মাকে ৫ লাখ টাকা চেক হস্তান্তর করেন। বুধবার সকালে চার্টার্ড বিমান (Chartered aircraft) থেকে জওয়ানের লাশ নিয়ে আসা হয়েছিল। তারপরে রাস্তা দিয়ে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।