বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্র সরকার গতকালই নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে গোটা দেশে প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি ‘পরাক্রম দিবস” পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মহত্মা গান্ধীর মৃত্যু দিন প্রতি বছর ৩০ জানুয়ারি শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। কেন্দ্র সরকার নতুন নির্দেশে ৩০ জানুয়ারি শহীদ দিবস দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বলিদান দেওয়া মহান বিপ্লবীদের সন্মানে দুই মিনিট নীরবতা পালন করার নির্দেশিকা জারি করেছে।
কেন্দ্র সরকার ৩০ জানুয়ারি শহীদ দিবস নিয়ে এবার নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ওই দিন স্বাধীনতার জন্য বলিদান দেওয়া বিপ্লবীদের স্মরণ করা হবে। কেন্দ্র সরকারের নতুন নির্দেশিকার পর থেকে এখন প্রতিবছর ৩০ জানুয়ারি শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হবে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে সমস্ত রাজ্য সরকার আর কেন্দ্র শাসিত প্রদেশে এই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
Ministry of Home Affairs writes to the Chief Secretaries of all States/UTs, issuing instructions laid down for observance of Martyrs' Day on 30th January.
Silence should be observed & work & movement stopped for 2 minutes throughout the country at 11 am on 30th. pic.twitter.com/2hYwYXMKSZ
— ANI (@ANI) January 20, 2021
নতুন এই নির্দেশে স্বাধীনতার জন্য বলিদান দেওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণে ১১ সকাল ১১ টায় দুই মিনিট মৌন থাকতে বলা হয়েছে। সকাল ১১ টায় গোটা দেশে কাজ আর সবরকম গতিবিধি স্তব্ধ থাকবে।
নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, ৩০ জানুয়ারি সকালে দুই মিনিট মৌন ব্রত পালন হবে। এর সাথে সাথে গোটা দেশ ওই দুই মিনিটের জন্য পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যাবে। যেখানে যেমন ব্যবস্থা আছে, সেখানে সেভাবেই সকাল ১০ঃ৫৯ নাগাদ সবাইকে অ্যালার্ট করে দেওয়া হবে। যেখানে সাইরেনের ব্যবস্থা আছে, সেখানে সাইরেন বাজিয়ে সবাইকে এই মুহূর্তের জন্য অ্যালার্ট করে দেওয়া হবে। নির্দেশে বলা হয়েছে যে, এর আগে নীরবতা পালনের সময় অনেক জায়গায় কাজ চলত, কিন্তু এবার থেকে এই নির্দেশিকা কড়া ভাবে পালন করতে হবে।
জানিয়ে দিই, ১৯৪৮ সালে দিল্লীর বিড়লা ভবনে বিকেলের প্রার্থনা সভায় মোহনদাস করম চাঁদ গান্ধীকে গুলি করা হয়েছিল। এরপর ওনার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর ৩০ জানুয়ারি শহীদ দিবস উপলক্ষে পালিত হয়। ৩০ জানুয়ারির দিন মহত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।