দরকার পড়লে আমিও দেশের হয়ে লড়ব, চীন-পাকিস্তানকে হুমকি শহীদের বাবার

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজস্থানের (rajasthan) ঝুনঝুনের বাসিন্দা নায়েব সুবেদার শামশের আলী (Shamsher Ali) ভারত মাতার রক্ষার জন্য নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, শুক্রবার রাজকীয় সন্মানের সাথে ওনার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। নায়েব সুবেদার আলী ভারত-চীন সীমান্তে মোতায়েন ছিলেন। ছেলের শেষকৃত্য করার পর শামশের আলীর বাবা সালিম আলী (Salim Ali) বলেন, সৈনিকের ধর্ম হল নিজের দেশের রক্ষার জন্য যথা সম্ভব প্রচেষ্টা করা। এরজন্য তাঁদের প্রাণ গেলেও পরোয়া করতে নেই।

ঝুনঝুনের হুকুমপুরা গ্রামের শহীদ শামশের আলীর বাবা তথা সেনার নায়েব সুবেদার পদ থেকে অবসরপ্রাপ্ত সালিম আলী ছেলের শেষকৃত্যে ভারত মায়ের জয়ধ্বনি দেন। ছেলের বিদায়ে ওনার চোখে জল থাকার কথা, কিন্তু জলের বদলে ওনার চোখে জ্বলছিল বদলার আগুন। জানিয়ে দিই, নায়েব সুবেদার সালিম আলী ২৩ বছর আগে অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত হলেও আজও তিনি দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকেন। জানিয়ে দিই, নায়েব সুবেদার শামশের আলী অরুণাচল প্রদেশের ভারত-চীন বর্ডারে বীরগতি প্রাপ্ত করেন।

ছেলের বীরগতি প্রাপ্ত হওয়ার খবর পেয়ে সালিম আলীর বুকে দুঃখ ছিল ঠিকই, কিন্তু তাঁর থেকে বেশি ছিল দেশ সেবা আর দেশের সুরক্ষার প্রতি দায়বদ্ধতা। উনি চীন আর পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে বলেন, ওঁরা কি করছে আমরা সব জানি। আমার এক ছেলে শহীদ হয়েছে তাতে কি? আমার আরেক ছেলে এখনো সেনায় আছে আর শহীদ ছেলের সন্তানকেও  আমি সেনায় পাঠাব দেশ রক্ষার খাতিরে।

উনি বলেন, আমাদের চারটি প্রজন্ম দেশ রক্ষার কর্তব্য পালন করছে। আমার আর আমার পরিবারের কাজই হল দেশের রক্ষা করা। দেশের উপর কেউ আঙুল তুললে আমরা পিছনে ফিরে তাকাই না। উনি চীনকে হুমকি দিয়ে বলেন, অবস্রের ২৩ বছর হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সুযোগ পেলে চীনের সাথে যুদ্ধ করতে পিছপা হব না। উনি বলেন, আমার ছেলে দেশের জন্য কুরবানি দিয়েছে। শহীদ কখনো মরে না, তাঁরা অমর হয়ে যায়। যতদিন এই বিশ্ব থাকবে, ততদিন তাঁরা বেঁচে থাকবে।

X