বাংলা হান্ট ডেস্ক : ক্রমেই জটিল হচ্ছে পাকিস্তানের (Pakistan) পরিস্থিতি। আর্থিক সংকটে জেরবার হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে রাজনৈতিক সমস্যাও। দরজায় একে ৪৭ নিয়ে টোকা দিচ্ছে তালিবান। মাঝেমধ্যেই পাকিস্তানের মাটি কেঁপে উঠছে বিস্ফোরণে। এরই মধ্যে, অচলাবস্থা তৈরি হয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতেই। পাকিস্তানের বর্তমান শাসক দল মুসলিম লিগের নেতা মরিয়ম নওয়াজ (Maryam Nawaz Sharif) প্রকাশ্যেই সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থাকে। এদিন তাঁর আক্রমণের নিশানায় ছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
মারিয়ম নওয়াজ পাকিস্তানের এক গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী। তিনিই এবার প্রকাশ্যে কাঠগড়ায় তুললেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্টকে। তাঁর আক্রমণ থেকে ছাড় পাননি পাকিস্তানের বর্তমান প্রধান বিচারপতিও। এরই সঙ্গে মারিয়ম নিশানা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেও। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের সরগোধা শহরের একটি প্রকাশ্য জনসভায় পাকিস্তান মুসলিম লিগের উপাধ্যক্ষ এবং মুখ্য ব্যবস্থাপক মারিয়ম নওয়াজ এদিন তোপ দাগেন একের পর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাঁর আক্রমণের নিশানায় একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে বেশ কয়েক জন বিচারপতির নামও উঠে আসে। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বিচারপতি ইজাজুল এহসান, বিচারপতি মজাহির আলি নকভি, সর্বোচ্চ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসার, বিচারপতি আসিফ সৈয়দ খোসা, আইএসআই-র প্রাক্তন প্রধান জেনারেল ফৈজ হামিদের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় নেত্রীকে। তাঁদের ছবি দেখিয়ে পাক জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এই মুখগুলো চিনে রাখুন। ২০১৭ সালে এরাই নওয়াজ শরিফের থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিতে ষড়যন্ত্র করেছিল। পাকিস্তানের বর্তমান আর্থিক সংকটের জন্য এরাই দায়ি।’
এদিন পাকিস্তানের বর্তমান বিচারপতিও ছাড় পাননি মারিয়মের তোপ থেকে। বর্তমান পাক প্রধান বিচারপতি ওমর অদা বন্দিয়ালকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারেতি নিজের কাজ ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করছেন। তিনি সরকার, নির্বাচন কমিশন এবল রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রধান বিচারপতি নিজের দায়িত্বই ভুলে গেছেন।’
মারিয়ম নওয়াজ এদিন কটাক্ষ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেও। তিনি বলে, ‘সেনা এখন ইমরান খানের সমর্থনে নেই। তাই ইমরান বিচারবিভাগের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে।’ নেত্রীর এই মন্তব্যের জবাবও দেন ইমরান। প্রাক্তন অধিনায়ক দাবি করেন, ‘নির্বাচন থেকে বাঁচার জন্য বিচার বিভাগকে হেনস্থা করছেন মারিয়ম।’ পাকিস্তানের বিচার বিভাগকে নেত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান ইমরান খান।