৩০ টাকাতেই ভাগ্যবদল! শখে কেনা লটারিই কোটি টাকা এনে দিল বছর উনিশের মিঠুকে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এক টিকিটেই বাজিমাত। ভাগ্যের খেলায় মাত্র উনিশ বছর বয়সেই রাতারাতি হয়ে গেলেন কোটিপতি। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের (Raiganj) রাজমিস্ত্রি (Mason) মিঠু দেবশর্মার লটারি (Lottery) জেতার (Win) খবর প্রকাশ্যে আসতেই যারপরনাই উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী থেকে শুরু করে আত্মীয় স্বজনরাও। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসারে এক কোটি টাকা প্রাপ্তি যেন হাতে চাঁদ পাওয়ার মতোই ঘটনা। ফলে, মিঠুর অর্থপ্রাপ্তির কথা জানাজানি হতেই খুশির আমেজ সারা বাড়িতে।

জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জের বীরঘই গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দা মিঠুর পরিবারের আর্থিক অবস্থা (Financial condition) খুবই সঙ্গীন। বহুকষ্টে টেনেটুনে সংসার চালানো ওই যুবক প্রতিদিনই মনে করতেন, একদিন ঠিক সুদিন ফিরবে। লটারির নেশা না থাকলেও ভাগ্য বদলের আশায় মাঝে মধ্যেই লটারির টিকিট কিনতেন মিঠু। তবে লটারির টিকিট জিতে কোটিপতি হওয়ার বিষয়টি তার কাছে অনেকটা দিবাস্বপ্নের মত ছিল। রাতারাতি কোটি টাকার মালিক যে তিনি হতে পারবেন এমনটা স্বপ্নেও ভাবেননি।

মিঠুর কল্পনাতে না হলেও ভাগ্যদেবীর প্রসন্নতায় তার কপাল খুলল। সূত্রের খবর, গত শনিবার ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেনেন মিঠু। কয়েকঘণ্টায় ভাগ্যবদল। রাতের দিকে তার কাছে খবর আসে, প্রথম পুরস্কার অর্থাৎ ১ কোটি টাকার মালিক তিনিই। প্রাথমিকভাবে মাত্র বছর উনিশের রাজমিস্ত্রির বিষয়টা ঠিক হজম হয় নি। পরে অবশ্য ঘোর কাটার পর লটারি জেতার বিষয়টি বুঝতে পারেন।

47910 lottery14 1 16

মিঠু বলেন, “আমি রাজমিস্ত্রি। এক কোটি টাকা কোনওদিন স্বপ্নেও ভাবিনি। দিন আনি দিন খাই। আমার আনন্দ বোঝাতে পারব না।” তবে আনন্দের পাশাপাশি খানিকটা ভয়ও রয়েছে মিঠুর মনে। এত টাকা দিয়ে কী করবেন মিঠু? তিনি জানিয়েছেন, সংসারের অবস্থা মোটেই ভাল না। পুরো টাকাটাই সংসারের জন্য খরচ করবেন। মিঠু সহ তার বাড়ির সকলেই প্রথমে হতবাক হয়ে গেলেও এখন আনন্দের জোয়ারে ভাসছে দেবশর্মা পরিবার।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর