চন্দননগরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (COVID-19) আতঙ্কের মধ্যেই ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগরে (Chandannagar) শুরু হল চরম গোষ্ঠীদবন্ধ। ব্যাপক বোমাবাজি চলতে তাহকে এলাকা জুড়ে। চন্দননগর কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতদের চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।new 22 1

দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে শুরু হয় বোমাবাজি
করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেই বহুবার রাজনৈতিক চাপানউতোর দেখা গিয়েছেইল। বিভিন সময় বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত বেধেছিল। তবে এবার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ব্যাপক বোমাবাজি হয় চন্দননগরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পৌঁছায়।

করোনা প্রতিরোধে ব্যারিকেট দেওয়াকে কেন্দ্র করেই ঝামেলার সূত্রপাত
গত দিন ধরে চলছিল এই গোষ্ঠী সংঘর্শ। করোনা প্রতিরোধে ব্যারিকেট দেওয়াকে কেন্দ্র করেই এই ঝামেলার শুরু হয়। প্রতিবাদের জেরে রবিবার ভদ্রেশ্বর তেলিনিপাড়ায় ইট-পাটকেল বৃষ্টি শুরু করে দুই দল। শুরু হয় গাড়ি-বাড়ি-দোকান ভাঙচুর এবং আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চন্দননগর কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে, তা সামাল দিতে রবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে পুলিশ।

new 13

পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই শুরু হয় বোমাবাজি
সোমবার এলাকা শান্ত করতে চলে রুট মার্চ ও পুলিশ পিকেটিং। কিন্তু মঙ্গলবার বেলা বাড়তেই পুলিশের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করেই তেলিনিপাড়া, ভদ্রেশ্বর গেট বাজার, চন্দননগরের গোন্দোলপাড়া ২৬ নম্বর ওয়ার্ড-সহ একাধিক জায়গায় শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। ঘটনাস্থলের পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে উত্তেজিত জনতা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠতে থাকে নানান প্রশ্ন। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরও গিয়েছিলেন ওই অঞ্চল পরিদর্শনে।

চন্দননগরের এই সংঘর্ষের জেরে রাজ্যপালের সাহায্য প্রার্থী হন বিজেপি সদস্যরা
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের ব্যর্থ ভূমিকাকে কটাক্ষ করে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয় বিজেপির (BJP) সদস্যরা। এই বিষয়ের কারণে মঙ্গলবার রাজ ভবনে পৌঁছান হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee), বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং-সহ বিজেপির সদস্যরা। রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট বলেন, “এইটুকু একটা ছোট জায়গাতেও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এটা প্রশাসনের ব্যর্থতার নিদর্শন।”

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর