বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারতের (India) পড়শিদেশে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প (China Earthquake)। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, একবার নয়, পর পর দুই বার কেঁপে উঠল চিনের (China) মাটি। সূত্রের খবর, উত্তর-পশ্চিম চিন গানসু-কিংহাই প্রদেশে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যদিও মার্কিং ভূকম্পণ গবেষণা সংস্থা দাবি করছে এই কম্পনের মাত্রা ছিল প্রায় ৫.৯।
সূত্রের খবর, ভয়ঙ্কর এই ভূমিকম্পের দাপটে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছে চিনের বাড়িঘর। ভূমিকম্পের জেরে চিনে মৃত্যুমিছিল। দুই প্রদেশে মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ১১১ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে আহতের সংখ্যা শতাধিক। জানা যাচ্ছে, গানসু প্রদেশে প্রাণহানির সংখ্যা বেশি।
এদিকে ঘটনার পরপরই উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েছে উদ্ধারকারী দল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারের কাজ। সূত্রের খবর, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝৌ থেকে ১০০ কিমি দূরে মাটি থেকে মাত্র ১০ কিমি গভীরে। চিনের সরকারি চ্যানেলের দাবি, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২।
আরও পড়ুন : এবার থেকে পড়ুয়াদের দিতে হবে ২ বার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা! নতুন নিয়মের পথে সংসদ, জানুন বিশদে
মিডিয়া চ্যানেল সিসিটিভি-র খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত গানসু প্রদেশেরই প্রায় ১০০ জন মানুষ মারা গেছেন। ওদিকে কিংহাই প্রদেশ থেকে ১১ জন মানুষের মৃত্যুর খবর ভেসে আসছে। দুই প্রদেশ মিলিয়ে আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০০ এর কাছাকাছি। দুই প্রদেশেই চলছে উদ্ধারকাজ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে গত অগাস্ট মাসেও একবার ভূমিকম্প আঘাত হানে পূর্ব চিনে। সেবার প্রায় ২৩ জন মানুষ আহত হন। ধসে পড়ে একাধিক বহুতল। এছাড়াও ২০২২ সালে সিচুয়ান প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়। তবে ২০০৮ সালে যে ভূমিকম্প ঘটে তার মাত্রা ছিল অনেকটাই বেশি। রিখটার স্কেলে ৭.৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পে প্রায় ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি ছিল শিশু। আহতের কথা বললে, প্রায় ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিল।