‘অখাদ্য ফিল্ডিং, ব্যাটিং অখাদ্য’, বিশ্বকাপ হারের পেছনে ‘ভিলেন’ মোদীকে দায়ী করলেন ফিরহাদ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৪০ কোটির স্বপ্নভঙ্গ। রবিবার ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া (India Vs Australia) হাইভোল্টেজ বিশ্বকাপ ফাইনাল (ICC ODI World Cup 2023 Final) ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও কামিন্সদের কাছে কার্যত একপেশে ম্যাচে ভারতকে হারতে হল ৭ উইকেটে। দীর্ঘ ১২ বছর পর দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জেতার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করল টিম ইন্ডিয়া। নেওয়া হল না ২০ বছর আগের বদলাও। পাল্টা সবটাই যেন বুমেরাং।

rohit lost india

মেয়রের হতাশা

৫০ ওভারের ম্যাচের হাফ সময় আসতে না আসতেই ধীরে ধীরে হতাশায় ভেগে পড়ে সাধারণ মানুষ। গতকালের এই ম্যাচের দিকে মুখিয়ে বসে ছিল সকল ভারতবাসী। নাওয়া-খাওয়া ভুলে সকলের চোখ টিভির পর্দায়। শহর কলকাতার বহু জায়গায় লাগানো হয়েছিল বড় স্ক্রিন। চেতলায় নিজের পাড়ায় সবার সঙ্গে বসে জায়ান্ট স্ক্রিনে বিশ্বকাপ ফাইনাল উপভোগ করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

আরও পড়ুন: কোথাও ১৭, তো কোথাও ১৯! দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া নিয়ে ভয়ঙ্কর আপডেট দিল IMD

‘ভিলেন’ পিচ

ছটের অনুষ্ঠানে সেরে তড়িঘড়ি বসে গিয়েছিলেন ফাইনাল দেখতে৷ তবে ম্যাচ শেষে আর পাঁচটা ভারতীয়র মতো তিনিও চরম হতাশায় ভেঙে পড়েন। পরপর দশটা ম্যাচ জিতেও কেন এভাবে হার? কেউ বলছে এর কারণ টসে হার, কেউ বলছে খারাপ ফিল্ডিং, আবার কেউ বলছে ভিলেন পিচ।

‘আমরা হেরে গেলাম’

গতকাল ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ফিরহাদ হাকিম। বলেন, “আমরা হেরে গেলাম। অদ্ভুত লাগছে, যে টিমটা এরম পারফর্ম করেছে সেই টিমটা খেলা কী করে ভুলে গেল! অখাদ্য ফিল্ডিং, ব্যাটিং অখাদ্য। এত বড় বড় ব্যাটসম্যান কারও সেঞ্চুরি নেই। যেই বোলাররা এত গুলো করে উইকেট নিয়েছে, শামির মতো বোলার, আমাদের বুমরার মতো বোলার, তারা উইকেটে কোনও সাপোর্ট পেল না।”

আরও পড়ুন: ছটপুজোয় কিসের অপেক্ষায় থাকেন মমতা? সকলের সামনেই ফাঁস করে দিলেন

বড় ‘ভুল’

প্রশ্ন তুলে দিয়ে ফিরহাদ বলেন, “সব থেকে বড় ভুল হয়েছে এখন আমার মনে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ম্যাচ হয়ে। এই খেলাটা যদি ইডেনে হত তাহলে অন্তত পিচের সাপোর্টটা বোলাররা পেত। এটা কী পিচ তৈরী করেছে। ” একাধিক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মত মেয়রও আঙ্গুল তুলে দিলেন সেই ‘ভিলেন’ পিচের দিকেই।

head ind

অধরা বিশ্বকাপ ট্রফি

টসে হেরে ভারত প্রথম ব্যাট করার সময় পিচ ছিল প্রচণ্ড ধীর এবং শুকনো। যার ফলে বল দেরিতে ব্যাটে আসছিল। তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানদের পক্ষেও রান করা ক্রমশ্য কঠিন হয়ে পড়ছিল। তাই ২৪০ তেই থামতে হয় রোহিতদের। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সময় আসতেই সেই পিচ যেন গিরগিটির মতো রং বদলে ফেলল। সন্ধ্যা হতেই শিশির পড়তে শুরু করল। পরিস্থিতি পুরোপুরি বিপরীত। আর ধীরে ধীরে বেরিয়ে গেল ম্যাচ।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর