CBI ধরায় বলেছিলেন, ‘কলকাতার মানুষকে বাঁচাতে দিল না!’, সেই ফিরহাদ ডেঙ্গির মধ্যে দিল্লিতে ধর্নায়

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পুজোর আর বেশি দিন বাকি নেই। তার আগে কলকাতা-সহ রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এদিকে দেখা নেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এবং ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ (Atin Ghosh)। কোথায় গিয়েছেন, দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিতে। আর এই নিয়েই শুরু বিতর্ক।

এমনকী, কলকাতার (Kolkata) একাধিক কাউন্সিলর থেকে শুরু করে বোরো চেয়ারম্যান বেশিরভাগই দিল্লিতে গিয়েছেন। আর এই নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরাও। তাদের বক্তব্য, ডেঙ্গি-ত্রাসের মধ্যে মেয়র, ডেপুটি মেয়র-সহ অধিকাংশ পুর-প্রতিনিধির দিল্লি-অভিযান অত্যন্ত বেমানান। এর ফলে শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।

যদিও এই নিয়ে মেয়র (Mayor) ফিরহাদ হাকিম বলেন, তিনি দিল্লিতে থাকলেও ডেঙ্গি মোকাবিলায় কোনও সমস্যা হচ্ছে না।

পরিসংখ্যান বলছে, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এক সপ্তাহে শহরে ৯৭৭ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। গত দু’দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় ডেঙ্গি সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। দিল্লি যাত্রা নিয়ে মেয়র ও ডেপুটি মেয়র-সহ অধিকাংশ পুরপ্রতিনিধির সমালোচনা করছেন বিজেপি (BJP) কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের কলকাতার বাইরে থাকার অর্থ, ডেঙ্গি আরও ভয়াবহ চেহারা নেবে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) মশা মারতে ড্রোন ওড়াচ্ছেন। আর যখন তাঁর কলকাতায় বেশি করে থাকার কথা, তখনই তিনি উধাও!’

একই অভিযোগ করেছে কংগ্রেস (Congress)। কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক বলেন, ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য তথা কলকাতা পুরসভার কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। অথচ, মেয়র, ডেপুটি মেয়র দিল্লিতে ছুটি কাটাচ্ছেন! আমরা মেয়র, ডেপুটি মেয়রের পদত্যাগ দাবি করছি।’

Mosquitoes Aedes aegypti carrier yellow fever dengue

এদিকে ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তিনি বলেন, মন্ত্রী-মেয়র দুই পদে থেকে কি আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম?’ তাঁর অভিযোগ, ডেঙ্গিতে মৃতদের অনেকেরই পরিবার পুরসভায় ফোন করে মেয়রের খোঁজ পায়নি। করলে বলা হচ্ছে, উনি নবান্নে (Nabanna) আছেন। আবার নবান্নে ফোন করলে বলা হচ্ছে, পুরভবনে আছেন।

Monojit

সম্পর্কিত খবর