বাংলা হান্ট ডেস্ক : তৃণমূল-বিজেপির (Trinamool – Bharatiya Janata Party) গোপন আঁতাত রয়েছে! এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছেন বাম নেতারা। সেই সুর আবার শোনা গেল সিপিআইএম (Communist Party of India Marxist)-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের (Md. Salim) গলায়। তিনি বললেন, কর্ণাটকে (Karnataka) তৃণমূল নেই, তাই ভোট কাটাকাটি হয়নি। তার জেরেই হেরেছে বিজেপি। অর্থাৎ আরও একবার ‘তৃণমূল-বিজেপি সেটিং’ তত্ত্বকে উস্কে দিয়ে দুই শিবিরকেই একযোগে আক্রমণ করেন সেলিম।
জোটের পক্ষে বড় বার্তা সেলিমের : রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েতে নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট হবে কিনা সেই জোর তর্জা চলছে। সেই জল্পনার আগুনে ঘি উস্কেই কয়েকদিন আগে সিপিআইএমের (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছিলেন, ‘মানুষ এককাট্টা হলে নেতারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।’ এবার দক্ষিণ দিনাজপুরে (Dakshin Dinajpur) গিয়েও দিলেন বড় বার্তা।
দলীয় কর্মীদের উপদেশ : পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে বাম সংগঠনকে আরও মজবুত করে তুলতে জেলায় জেলায় যাচ্ছেন সেলিম। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরে আসনে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক। এদিন গঙ্গারামপুর শহরের রবীন্দ্র ভবনে কর্মী সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা বক্তব্য রাখেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রাম বাংলায় সিপিআইএমের সমর্থকদের একজোট হতে নির্দেশও দেন।
মোদি-শাহ জুটিকে তুলোধোনা : এদিন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর নির্দেশ দেন বঙ্গ সিপিএম নেতা। একইসঙ্গে কর্নাটকে বিজেপির (BJP in Karnataka) হার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে একযোগে তোপ দাগলেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহর বিরুদ্ধেও।
ভোট কাটতে পারেনি তৃণমূল : বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়িয়ে বলেন, ‘যেখানেই মোদি, অমিত শাহ যাবে সেখানেই বিজেপি হারবে। তার কারণ মোদি এবারও ভোটারদের বলেছিলেন ভোট দেওয়ার আগে বাজরংবলির নাম স্মরণ করে বোতাম টিপবেন। ধর্মীয় এই তামাশা আর সাধারণ মানুষ চাইছে না। অনেক হয়েছে। কর্নাটকে বিজেপি বি টিম তৈরি করতে পারেনি। মনিপুর, মেঘালয়, অসমে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাজে লাগিয়ে ভোট কাটাকাটি করতে পেরেছিল। কর্নাটকে সেটা সম্ভব হয়নি। আর সেই কারণেই কংগ্রেস এখানে জিতছে। বিজেপি হারবে তৃণমূল কংগ্রেস ও হারবে মানুষ বেশিদিন এই বিভাজনের রাজনীতি মেনে নেবে না। স্যালুট কর্ণাটকের সাধারণ মানুষকে।’