দিলিপ ঘোষকে কটাক্ষের বানে বিধলেন মহম্মদ সেলিম

দিলিপ ঘোষকে নিয়ে এমনিতেই বিতর্কের শেষ নেই ,তার মধ্যে এবার কড়া নিন্দার সম্মুখীন হলেন ।এবার তাকে কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন মহম্মদ সেলিম। পাটুলির সিএএ নিয়ে বিজেপির এক প্রতিবাদী যাত্রায় এক ছাত্রীকে হেনস্থা করার ঘটনা ঘটে তার বিরুদ্ধে। এইদিন পাটুলির মোড় থেকে বৃহস্পতিবার অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করেছিল বিজেপির একটি শ্রমিক সংগঠন। সেখানে হাজির হয়েছিল দিলীপ ঘোষ।

এরপর একজন ছাত্রীর উপরে চড়াও হন বিজেপি সমর্থকরা। অভিযোগ, গেরুয়াবাহিনী অকথ্য গালিগালাজ করতে থাকে। কেড়ে নেওয়া হয় পোস্টার। ছাত্রীর উদ্দেশে অশ্লীল শব্দও ব্যবহার করা হয়। তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। পাটুলিতে সিএএ-র সমর্থনে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রায় প্রতিবাদী ছাত্রী সুদেষ্ণা দত্তগুপ্তের সাফ জানিয়েছেন তিনি কেবলমাত্র এন আরসি নিয়ে প্রতিবাদ করতে এসেছিলেন। তিনি এও জানান যে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে কোনরকম যোগাযোগ নেই। আর সেখানে দিলিপ ঘোষ বলেন”ওরা আমাদের মিছিলের কাছে এসেছিল।

AM 3

 

 

 

প্ল্যাকার্ড কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। চোদ্দ পুরুষের ভাগ্য ভালো অন্য কিছু করেনি”। আর তারপরেই সুদেষ্ণা দত্তগুপ্ত থানায় এফআইআর করেন। রবিবার পুরুলিয়ার রাসমেলা ময়দানে অনুষ্ঠিত দলীয় ওই সভায় মহম্মদ সেলিম তার বক্তব্যে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক হন সিএএ এবং এনআরসি ইস্যুতে। তিনি বলেন,‘আমরা বাম পন্থীরা কোনও ভাবেই এনআরসি হতে দেব না। বিজেপিকে কটাক্ষ করে অনেক কথা বলেন তিনি, দিলিপ ঘোষকে তুলোধনা করতেও ছাড়েনি এদিন তিনি।

মঞ্চ থেকে জানান , ‘যখন জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন কোনও বাপের ব্যাটা দিলীপ ঘোষের সাহস ছিল যে বলে দিতে পারে দু’কোটি মানুষকে তাড়িয়ে দেব?আজকে কেন বলছে? কারণ নবান্নের চৌদ্দ তলায় চোর চট্টাদের আড্ডা হয়ে গিয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দিল্লিতে আবার রাজভবনে বৈঠক করছেন।এনআরসি নিয়ে চোরি চোরি চুপকে চুপকে হয় না। ওটা পার্লামেন্টে হয়। আর সেখানে যখন আইন নিয়ে কথা হচ্ছিল তখন তৃণমূলের এমপিরা হাজির হননি।’


সম্পর্কিত খবর